চট্টগ্রাম: ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া ১১টি জাহাজ ভিড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের জিসিবি, সিসিটি ও এনসিটি জেটিতে। দুইদিন জাহাজশূন্য থাকা জেটিতে আবার শুরু হয়েছে কর্মচাঞ্চল্য।
মঙ্গলবার (২৮ মে) কর্ণফুলী নদীর হাইটাইডে বন্দরের নিজস্ব অভিজ্ঞ পাইলটের তত্ত্বাবধানে ও শক্তিশালী টাগ বোটের সহায়তায় এসব জাহাজ আনা হয়।
বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক।
তিনি জানান, সাগর ও নদী উত্তাল থাকায় সোমবার প্রস্তুতি নেওয়ার পরও জাহাজ জেটিতে আনা সম্ভব হয়নি। আজ ১১টি জাহাজ জেটিতে আনা হয়েছে। জোয়ার থাকা সাপেক্ষে আরও জাহাজ আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
আটকে গেল একটি জাহাজ
পতেঙ্গা বোট ক্লাবে সংলগ্ন কর্ণফুলী নদীতে কসকো শিপিং লাইনের ‘এমভি শি জি ফেং’ নামের একটি জাহাজ বন্দর জেটিতে আনার সময় প্রপেলার বয়ার শেকলের সঙ্গে আটকে যায়। এরপর দ্রুততম সময়ের মধ্যে বন্দরের তিনটি টাগবোট জাহাজটি টেনে নিয়ে যায় বহির্নোঙরে।
বন্দর সচিব এ প্রসঙ্গে বলেন, জাহাজটি জেটিতে আনার সময় স্টিয়ারিং গিয়ার নষ্ট হওয়াতে একদিকে কাত হয়ে যায়। এসময় জাহাজের প্রপেলরের সঙ্গে একটি বয়ার শেকল আটকে যায়। বন্দরের টাগবোটের সহায়তায় জাহাজটি দ্রুত বহির্নোঙরে টেনে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে বন্দর চ্যানেল স্বাভাবিক রয়েছে। জাহাজটি মেরামত শেষে পুনরায় জেটিতে আনা হবে।
সূত্র জানায়, ১৮৯ মিটার লম্বা চীনা পতাকাবাহী কার্গো জাহাজটি ২৪ হাজার ৫০০ টন পণ্য নিয়ে এসেছিল চট্টগ্রাম বন্দরে। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের আগে জাহাজটি জেটিতে থাকাবস্থায় ২৪ হাজার টন পণ্য খালাস করা হয়েছিল। এরপর সেটি বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল ঘূর্ণিঝড়ে বন্দর চ্যানেল, জেটি ও ক্রেন সুরক্ষার জন্য। পুনরায় জেটিতে আনার সময় জাহাজটিতে খুব কম পণ্য ছিল, মাত্র ৫০০ টনের মতো। ফলে জাহাজটির ড্রাফটও ছিল কম, ৬ দশমিক ২ মিটার। অথচ বন্দর চ্যানেল দিয়ে জোয়ারের সময় ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ অনায়াসে আনা নেওয়া করা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি