ঢাকা, বুধবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেই ব্যবস্থা’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৪ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৪
‘নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেই ব্যবস্থা’ ...

চট্টগ্রাম: জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) লুৎফুন নাহার বলেছেন, আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিতব্য উল্লেখিত এ দু’টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অবাধ, গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠুভাবে উপহার দেওয়া হবে। কোন প্রার্থী বা প্রার্থীর সমর্থক আচরণবিধি লংঘন করলে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে প্রত্যেক প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদেরকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে হবে, অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জাল ভোট প্রদান, কেন্দ্র দখল বা অন্য কোন অজুহাতে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে কোন ধরণের গুজব ছড়ালে ছাড় নেই। নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সবর্দা আপনাদের পাশে থাকবে। নির্বাচনে কোন অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না।  

সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা একেএম গোলাম মোর্শেদ খান বলেন, আচরণবিধি মেনেই নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। আচরণবিধি পর্যবেক্ষণে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবে। একজন প্রার্থীর পোষ্টারের উপর অন্য প্রার্থীর পোষ্টার লাগানো যাবে না। নির্বাচনী আচরণবিধি মানতে হবে, অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

সভায় জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশনের বিধি-বিধান বা পরিপত্র মেনে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোট কেন্দ্রে  বা বাইরে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা যাবে না। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে যা যা করা দরকার তা-ই করবো। কোন অপশক্তির কাছে আমরা মাথা নত করবো না। ৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে আগের চেয়ে প্রায় দ্বিগুন সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী যে কোন ধরণের সহিংসতা রোধে জেলা পুলিশ প্রস্তুুত রয়েছে।  

সভায় সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, নির্বাচনে কেউ জয়ী হবে, কেউ পরাজিত হবে, এটা বাস্তবতা ও মেনে নিতে হবে। সকলের সম্মিলিত উদ্যোগে আমরা একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে চাই। কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতির পরিবেশ সৃষ্টিকরা আমাদের একার পক্ষে সম্ভব নয়। ইতোপূর্বে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কমিশন কোন ধরণের ছাড় দেয়নি। নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে সবাই আপনাদের পাশে আছে। আচরণবিধি শতভাগ মেনে চলতে হবে। আমাদের পক্ষ থেকে কোন অবহেলা হবে না। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সাথে নিয়ে যা যা করণীয় তা-ই করা হবে। নির্বাচনী এলাকায় অনুমতি ব্যতীত কোন যানবাহন চলবে না। ভোট গ্রহণের ৩২ ঘন্টা আগ পর্যন্ত প্রচার-প্রচারণা করা যাবে।  

মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইনামুল হাছান, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার, আনসার ভিডিপি’র জেলা কমান্ড্যান্ট এএইচএম সাইফুল্লাহ হাবীব, সিএমপি’র সহকারী পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. নুরুল ইসলাম সিদ্দিক, বিজিবির সহকারী পরিচালক উপেন্দ্র নাথ হালদার, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হারুন মোল্লাহ, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল-আমিন হোসাইন, র‌্যাবের ডিএডি মোহাম্মদ মনির হোসেন, লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৪ 
বিই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।