চট্টগ্রাম: নগরের বন্দর থানা এলাকার রিকশা চালক আলমগীর ফকির (৬৫) হত্যার ঘটনায় মো. আরিফ নামে আরেক রিকশা চালককে গ্রেপ্তার করেছে বন্দর থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর পুলিশের কাছে নিজের অপরাধ স্বীকারও করেছে রিকশা চালক মো. আরিফ।
রিকশা চালক পুলিশের কাছে জানায়, একই গ্যারেজে রিকশা চালাতো আলমগীর ও আরিফ। গ্যারেজের অভ্যন্তরে মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে লুডু খেলছিল।
রোববার (২ জুন) এই তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা।
গ্রেপ্তার মো. আরিফ (২৮), ভোলা জেলার তজুমুদ্দিন থানার দেওয়ানপুর গ্রামের ভুঁইয়া বাড়ির মৃত আবদুল পাটোয়ারীর ছেলে। তিনি নগরের বন্দর থানার মধ্যম হালিশহর এলাকার ধুপপুলে গনি মাজনের বাড়িতে ভাড়ায় থাকেন। পেশায় তিনি রিকশা চালক।
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) মোহাম্মদ কাজী হুমায়ুন রশীদ জানান, গত ৩০ মে রাতে নগরের সল্টগোলা ক্রসিং ফলের দোকানের সামনে থেকে আলমগীরের রিকশায় উঠে আরিফ। রিকশাযোগে নগরের ইসহাক ডিপোতে যাওয়ার পথে নগরের বন্দর থানার কাস্টম ব্রিজের পশ্চিমে রাস্তার উপর পৌঁছালে আলমগীরকে আরিফের সঙ্গে থাকা ১টি রেঞ্চে দিয়ে আলমগীরের মাথার ডান পাশে আঘাত করে। এসময় রিকশাটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাও করে আরিফ। তখন আলমগীর আরিফকে বাধা দিলে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। আরিফ পুনরায় রেঞ্চে দিয়ে আলমগীরের গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিকবার আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
তিনি আরও জানান, মানুষজন মৃতদেহটি যাতে না দেখে সেজন্য আরিফ মৃতদেহটি টেনেহিঁচড়ে একটু আড়ালে রেখে চলে যায়। হত্যায় ব্যবহৃত রেঞ্চটি ঘটনাস্থলের পাশে ফেলে দেয়। আলমগীরের ব্যবহৃত ফিচার ফোন ও রিকশাটি নিয়ে অন্যত্র চলে যায়। রিকশার যন্ত্রাংশ খুলে নগরের খুলশী থানার সর্দার বাহাদুরনগর এলাকার খলিলের স্ক্র্যাপের দোকানে কেজি হিসেবে ৩ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করে। আরিফের দেওয়া তথ্য মতে স্ক্র্যাপের দোকান থেকে রিকশার বিভিন্ন যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়। হত্যার কাজে ব্যবহৃত ১টি রেঞ্চ উদ্ধার করা হয়।
বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কিশোর মজুমদার জানান, আলমগীর ফকির হত্যা মামলা হওয়ার পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মো. আরিফকে নগরের বন্দর থানার ধুপপুল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিহত আলমগীরের ব্যবহৃত মোবাইল সেটটি উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, জুন ০২ , ২০২৪
এমআই/টিসি