চট্টগ্রাম: প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করতে ক্যাশলেস হওয়ার শর্তে ১৯ খাতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসা করমুক্ত করার প্রস্তাব এবারের বাজেটের বড় চমক বলে মনে করেন চিটাগাং উইম্যান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী কর্তৃক জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবের ওপর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীকে জনশক্তিতে রূপান্তর করতে সিএমএসএমই খাতের উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ প্রয়োজন। বিশেষ করে দেশের সিংহভাগ নারী উদ্যোক্তারা সিএমএসএমই খাতের আওতায় তাদের ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করে।
নারীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বৃদ্ধিকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, নারীদের আয়করের সীমা ৪ লাখ টাকায় বৃদ্ধি করায় করদাতা ও উদ্যোক্তা নারীদের জন্য সহায়ক হবে।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতিতে এবারের বাজেট ঘোষণা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বাজেট বৃদ্ধি দেশের জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং স্বাস্থ্য খাতে ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব ইতিবাচক। শিশুখাদ্য পণ্যের ওপর সম্পূরক শুল্ক তুলে নেওয়া এবং ল্যাপটপের ওপর করের হার কমানো প্রযুক্তি নির্ভর কর্মকাণ্ডে সহায়ক হবে।
করপোরেট কর কমানো, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অগ্রীম কর হার অর্ধেক করা এবং সর্বোচ্চ করের হার ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করের ন্যায্যতা কিছুটা হলেও নিশ্চিত করবে। ডায়ালাইসিস সেবায় ব্যবহৃত আমদানি পণ্যের ওপর করের হার ১০ শতাংশ থেকে ১ শতাংশ করার প্রস্তাব অত্যন্ত মানবিক বলে মনে করেন মনোয়ারা হাকিম আলী।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি