ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঈদের আগেই ভূমি ও গৃহহীন ২৩৪ পরিবারের স্বপ্নপূরণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫০ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৪
ঈদের আগেই ভূমি ও গৃহহীন ২৩৪ পরিবারের স্বপ্নপূরণ ...

চট্টগ্রাম: পঞ্চম দফায় আগামী ১১ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। ওইদিন চট্টগ্রাম জেলার ভূমি ও গৃহহীনরা (যাদের ভূমি ও ঘর নেই) পাচ্ছেন জমি-ঘর।

এর ফলে চট্টগ্রাম জেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে।

জানা গেছে, ২৩৪টি ঘরের মধ্যে চন্দনাইশ উপজেলায় ১৫৫টি, মীরসরাইয়ে ৩৪টি, সীতাকুণ্ডে ৪৫টি পরিবারকে গৃহ হস্তান্তর করা হবে ১১ জুন।

মীরসরাই উপজেলার জন্য নতুনভাবে ৭৩টি ঘরের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যার নির্মাণকাজ শেষের দিকে।

এছাড়াও জরাজীর্ণ ব্যারাকের স্থলে একক গৃহ নির্মাণের জন্য ১১৬টি ঘরের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর ১০০ পরিবারকে গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ১১ জুন বাকি ১৬টি পরিবারকে গৃহ হস্তান্তর করা হবে।

সন্দ্বীপ উপজেলায় নির্মাণাধীন ৪টি আশ্রয়ণ প্রকল্পের মধ্যে ৩টি প্রকল্প বাংলাদেশ নৌবাহিনী কর্তৃক হস্তান্তর করা হয়েছে। একটি আশ্রয়ণ প্রকল্প হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন। প্রকল্পসমূহে ৯২৩টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে।  

এরইমধ্যে চট্টগ্রাম জেলার ১৫টি উপজেলার মধ্যে ১২টি উপজেলা পটিয়া, কর্ণফুলী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, রাউজান, বোয়ালখালী, আনোয়ারা, ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, রাঙ্গুনিয়া, বাঁশখালী, মীরসরাই উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড, চন্দনাইশ ও সন্দ্বীপ উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করার জন্য আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প কার্যালয়ে প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে। এই তিনটি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম জেলাকেও ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে।

‘মুজিব শতবর্ষে একজন লোকও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুই শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম জেলায় ১ম পর্যায়ে ১ হাজার ৪৪৪টি ঘরের বরাদ্দ প্রদান করা হয় এবং ১ হাজার ৪৪৪টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬৪৯টি ঘরের বরাদ্দ প্রদান করা হয় এবং ৬৪৯টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। তৃতীয় পর্যায়ে ১ হাজার ৯৬২টি ঘরের বরাদ্দ প্রদান করা হয় এবং ১৯৬২টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। চতুর্থ পর্যায়ে ১ হাজার ২২৩টি ঘরের বরাদ্দ প্রদান করা হয় এবং ১ হাজার ২২৩টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়।

পঞ্চম পর্যায়ে এ পর্যন্ত ৩৮৮ ঘরের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর ৮১টি পরিবারকে গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন। সেই পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ছিন্নমূল মানুষদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়নে শেখ হাসিনা মডেল তথা আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৪ 
বিই/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।