চট্টগ্রাম: অনুকূল আবহাওয়ার কারণে এবছর রেকর্ড পরিমাণ লবণ উৎপাদন হয়েছে। কিন্তু কোরবানিতে কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের অপরিহার্য উপাদান লবণের দামে এর কোনো প্রভাব পড়েনি।
কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিটি কাঁচা চামড়ায় ৯ থেকে ১০ কেজি করে লবণের প্রয়োজন হয়।
বিসিকে তথ্য বলছে, চলতি মৌসুমে কক্সবাজার জেলার সদর, টেকনাফ, পেকুয়া, মহেশখালী, ঈদগাঁও, চকরিয়া, কুতুবদিয়া ও চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ৬৮ হাজার ৩০০ একর জমিতে লবণ চাষ হয়েছে। গত মে মাস পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে ২৩ লাখ ৩১ হাজার টন। যা অতীতের সব রেকর্ডকে পেছনে ফেলেছে। কিন্তু লবণের দাম না কমে উল্টো বেড়েছে।
লবণের বোট মালিক মো. দিদারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, স্থানীয় বাজারে অপরিশোধিত লবণ এখন মণপ্রতি ৩৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা নগরের মাঝির ঘাটে এসে প্রতি বস্তা (৭৪ কেজি) ৮৫০-৮৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চট্টগ্রামের বৃহত্তর কাঁচা চামড়া আড়তদার সমবায় সমিতির সহ সভাপতি আব্দুল কাদের বাংলানিউজকে বলেন, রমজানের আগেও প্রতি বস্তা লবণ কিনেছি ৮৫০ টাকায়। সেই লবণ এখন কিনতে হচ্ছে ৯৭০-৯৮০ টাকা। লবণ কেনার পর পরিবহন-লেবার খরচ মিলিয়ে এখন হাজার টাকা পড়ছে প্রতি বস্তা।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকার লবণযুক্ত চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছে। এখন মৌসুমী ব্যবসায়ী থেকে চামড়া কিনে প্রতি চামড়ায় ৯-১০ কেজি লবণ ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে ৫০০ টাকা খরচ। ঢাকা নেওয়ার পর ট্যানারিতে গ্রেডিং করলে চামড়া দাম কমে যায় ১০০-১২০ টাকা। এখন সব খরচ হিসেব করেই তো চামড়া কিনতে হবে।
‘চামড়া কেনার সময় প্রশাসনের যে নজরদারি থাকে আমরা বিক্রি করার সময় যদি সেই নজরদারি থাকতো তাহলে আমরা ন্যায্য দাম পেতাম। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৪
পিডি/টিসি