চট্টগ্রাম: কোরবানি এলেই বাড়ে বিভিন্ন সিন্ডিকেটের উপদ্রব। আর এসব সিন্ডিকেটের প্রভাবে বাজারে বাড়ে গরুর দাম।
বলে মনে করছেন ক্রেতারা।
নগরের কয়েকটি গরুর বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি গরুর বাজারে রয়েছে দালাল ও খুঁটি সিন্ডিকেট দৌরাত্ম্য। গরু বেচা কেনায় দালালের কারণে প্রকৃত দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি গরু বোঝাই গাড়ি বাজারে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি গরু বাধার খুঁটি বাবদও গুনতে হচ্ছে আলাদা টাকা। যা বাড়িয়ে দিচ্ছে গরুর দাম।
নগরের মইজ্জাটেক গরুর বাজার দেখা যায়, এ বাজারে গরু বোঝাই গাড়ি প্রবেশ করলেই খুঁটি ব্যবসায়ীকে দিতে হচ্ছে আলাদা টাকা। প্রতিটি খুঁটি বা খাইনের খরচ বাবদ দিতে হচ্ছে ৩০ হাজার টাকা। এসব প্রতিটি খাইনে ২৫টির মত গরুর রাখা যায়। এছাড়া বিক্রি না হওয়া পর্যন্ত লালন পালনের খরচ সহ প্রতিটি গরুতে দাম বাড়ে ৭-১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। যা শেষ পর্যন্ত কাটা যাচ্ছে ক্রেতার পকেট থেকে।
এ বাজারের ব্যবসায়ীরা বাংলানিউজকে বলেন, এ বাজারে গত ২৪ ঘণ্টায় গরুর গাড়ি এসেছে প্রায় ৫০ গাড়িরও অধিক। যা কোরবানির সময় ঘনিয়ে আসতে আসতে আরও বাড়বে। তবে খাইন বা খুঁটির দাম বেশি হওয়ায় গরুর দামে প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন তারা।
এদিকে, গরু বেচা কেনা এখনও তেমন জমে না উঠলেও অনেকে আবার নিজের পছন্দের কোরবানির পশুটি কিনে রাখতে চাইছেন।
বাজারে গরু কিনতে আসা একাধিক ক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, গরু দাম এখনও চড়া। যে গরুগুলো গতবছরও ৮০-৮৫ হাজার টাকা ছিল সেটি এবার আরও বেড়েছে। ক্রেতারা গরুর দাম লাখ টাকা হাঁকালেও দেখে কোনোভাবেই লাখ টাকার গরু মনে হচ্ছে না।
গরু কিনতে এসে বাজটের সঙ্গে দামের তারতম্য বেশি থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেক ক্রেতা।
নুর নগর হাউজিং এস্টেট পশুর হাটের ইজারদার সাইফুল আলম বলেন, কোরবানির পশু বেচাকেনার জন্য আমাদের হাট প্রায় পুরোপুরি প্রস্তুত। হাটের বিষয়ে জেলা প্রশাসন থেকে যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছে, সবগুলো শর্ত প্রতিপালনের বিষয়ে আমরা সজাগ। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বেপারিরা গরু নিয়ে আসছেন। অনেক গরু এখনো পথে রয়েছে। আর কয়েক দিন পর বাজার পুরোপুরি জমে উঠবে বলে আশা করছি।
প্রসঙ্গত, নগরে নয়টি অস্থায়ী পশুর হাট সহ মোট ১১টি পশুর হাট ইজারা দিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। এছাড়া চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলাগুলোতে বসেছে আরো ২৫০ এর অধিক পশুর হাট।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৪
এমআর/পিডি/টিসি