চট্টগ্রাম: প্রতি টন এলাচ ২০-৩০ লাখ টাকা। ভালো মানের এলাচের দাম আরও বেশি।
কিন্তু কোরবানির আগে গরম মসলার বাজার যখন চাঙা তখনি স্লিপ ক্রেতাদের কোটি কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা নাজিম।
কয়েকদিন ধরে এ ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে খাতুনগঞ্জে। বিশ্বাস ও আস্থার সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের ওপরও প্রভাব পড়ছে এলাচ কাণ্ডের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ভুক্তভোগী বাংলানিউজকে বলেন, সোনামিয়া মার্কেটের শেষপ্রান্তে ছোট্ট একটি কক্ষে এলাচের ডিও বিক্রি করছিলেন নাজিম। আমদানিকারকদের কাছ থেকে বাকিতে এলাচ কিনে স্লিপ বেচে টাকা নগদ করে নেন তিনি। গত ৪ জুন থেকে এলাচের সরবরাহ বন্ধ করে দেন তিনি। এতে সন্দেহ বাড়তে থাকে ভুক্তভোগীদের। নাজিমের দেওয়া চেকও ফেরত আসতে থাকে ব্যাংক থেকে। নাজিম বোনের স্বামীর সঙ্গে যোগসাজশ করে এসব প্রতারণার জাল বিস্তৃত করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনে কয়েক দফা বৈঠকও হয়।
অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক আলমগীর পারভেজ বাংলানিউজকে বলেন, নূর ট্রেডিংয়ের মালিকের লাপাত্তা হওয়ার ঘটনায় কত জন কী পরিমাণ টাকা পাবেন তার সঠিক হিসাব বা তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। এ বিষয়টি সমাধানের জন্য একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। কমিটি কাজ করছে।
জানতে চাইলে এলাচ কাণ্ডের ঘটনায় কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ছগির আহমেদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৪
এআর/টিসি