চট্টগ্রাম: কোরবানি উপলক্ষে চসিক অনুমোদিত নগরের ১০টি ও বিভিন্ন উপজেলার পশুর হাটগুলো জমে উঠছে। দূর-দূরান্ত থেকে বেপারী, খামার মালিক ও গৃহস্থরা গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া, গয়াল এনেছেন পছন্দের হাটে।
বরাবরের মতোই চট্টগ্রামে রেড কাউ বা লাল রঙের গরুর চাহিদা বেশি। দেখতে সুন্দর, তেজি গরুর দামও বেশি হাঁকছেন বিক্রেতারা।
কারণ হিসেবে বেপারীরা বললেন, গরু কিনে বাসায় লালন-পালন করা ঝামেলার। তাই শহুরে কোরবানিদাতারা একদিন আগেই বেশি গরু কেনেন।
এবার স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে নগরে ১০টি পশুর হাট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে স্থায়ী হচ্ছে সাগরিকা গরু বাজার, বিবিরহাট গরু বাজার, পোস্তার পাড় ছাগল বাজার।
অস্থায়ী হচ্ছে- নূরনগর হাউজিং, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে পতেঙ্গা বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণের খালি মাঠ, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে পূর্ব হোসেন আহম্মদ পাড়া সাইলো রোডের পাশে টিএসপি মাঠ, মুসলিমাবাদ সড়কের সিআইপি জসিমের খালি মাঠ, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে বড় পোল সংলগ্ন মহেশখালের দুই পাড়ের খালি জায়গা, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে আউটার রিং রোড সিডিএ বালুর মাঠ ও ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে মধ্যম হালিশহর মুনিরনগর আনন্দবাজার সংলগ্ন রিং রোডের পাশের খালি জায়গা।
কর্ণফুলী নদীর ওপারে মইজ্জারটেক, বুড়িশ্চর-মোহরা, কর্ণফুলী, হাটহাজারী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়ি, মীরসরাই, পটিয়া, বোয়ালখালী, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, আনোয়ারা, বাঁশখালী ও সন্দ্বীপের পশুর হাটগুলোতে কোরবানির বেচাকেনা শুরু হয়ে গেছে।
পশুর হাটের বাইরে অনেক খামারেও গরু-মহিষ বিক্রি হচ্ছে। অনলাইন, ফেসবুকের মাধ্যমেও গরু বিক্রি করছেন কেউ কেউ।
জায়েদ আলী ১৯৯৮ সাল থেকে চট্টগ্রাম আসেন কোরবানির গরু নিয়ে। তিনি জানান, এবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ২১টি নিজেদের পালন করা গরু নিয়ে এসেছেন বিবিরহাটে। ট্রাক ভাড়া নিয়েছে ৪৭ হাজার ৫০০ টাকা।
তিনি জানান, চট্টগ্রামে সুন্দর গরুর ভালো দাম পাওয়া যায়। এখনো পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হয়নি। শুক্রবার থেকে বিক্রি শুরু হবে।
পতেঙ্গা বাটারফ্লাই পার্কের পাশের বালুর মাঠে চসিকের অস্থায়ী পশুরহাটে প্রচুর গরু এনেছেন বিক্রেতারা। স্থানীয় লোকজন জানান, অন্যান্যবারের চেয়ে এবার হাটের পরিসর বড়। গরুও এসেছে বেশি, দামও বেশি।
পশু কোরবানি ঘিরে ব্যস্ততা বেড়েছে মরিচ, হলুদ, চাল, ধনিয়া গুঁড়ো করার কলঘর ও দা, ছুরি ধার দেওয়ার শানঘরে। চামড়ার আড়তে চলছে লবণ সংগ্রহের প্রস্তুতি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২৪
এআর/টিসি