চট্টগ্রাম: পুত্র সন্তান জন্ম দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন মাহবুবা নাজমিন। লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, পুত্র সন্তানের মা হলাম’।
রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা-কদমতলি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড ফেরিঘাট এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে সোমবার (১০ জুন) রাতে নাজমিনের প্রসব ব্যথা ওঠে।
নাজমিনের স্বামী মো. রিমন দুবাই প্রবাসী। পুত্র সন্তান হওয়ার খবর পেয়ে তিনিও ফেসবুকে দোয়া কামনা করে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। রাতে নাজমিনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
চন্দ্রঘোনা-কদমতলি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. হারুন জানান, রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা-কদমতলি ইউনিয়নে নাজমিনদের বাড়ি। একই ইউনিয়নের মো. রিমনের সঙ্গে দেড় বছর আগে তার বিয়ে হয়। তিন মাস আগে চাকরি নিয়ে দুবাই চলে যায় রিমন।
স্বজনরা জানান, সন্তান হওয়ার পর নাজমিন সুস্থ ছিলেন। বিকেলের দিকে তার রক্তক্ষরণ হলে আবারও রক্ত দেওয়া হয়। এরপরও বাঁচানো যায়নি। পরিবারে নতুন শিশুর আগমনে সবার খুশি বিকেল হতেই মিলিয়ে গেল। রাতে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে শোক প্রকাশ করেছেন। একজন লিখেছেন, জীবনের কত রং, কত রূপ, কত গন্ধ। তবু গবেষকেরা নিরন্তর খুঁজে ফিরছেন সত্যিকারের সার্থক এক জীবনের সংজ্ঞা। বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় জীবনের কি কোনো সহজ-সাবলীল সংজ্ঞা হয়, নাকি কোনো বিশেষ ছাঁচে তাকে ফেলা যায়?
আরেকজন লিখেছেন, কত রকম মানুষের সঙ্গে এই এক জীবনে দেখা হওয়ার সুযোগ হয়েছে, তাদের সেই যাপিত জীবনে তারা কত রকমভাবেই যে জীবনকে নেড়েচেড়ে দেখছে, তা কল্পনাতীত। ভালো-মন্দ, সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, এসব নিয়েই তো জীবন। সে জীবনে মানুষ কখনো জিতে যায়, কখনোবা লড়াইয়ে হেরে যেতে হয়। আহা জীবন-আহা রে জীবন!
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২৪
এসি/টিসি