চট্টগ্রাম: রোববার (১৬ জুন) থেকে ঈদুল আজহার তিনদিনের সরকারি ছুটি। এর আগে শুক্রবার (১৪ জুন) ও শনিবার (১৫ জুন) সাপ্তাহিক ছুটি।
ঈদে বাড়ি ফেরার পথে ভিড় ও দুর্ভোগ এড়াতে অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে আগেভাগেই শহর ছেড়েছেন ট্রেনে।
বৃহস্পতিবার দুপুর এবং শুক্রবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম রেল স্টেশন লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। প্রতিটি ট্রেনে ছিল উপচে পড়া ভিড়। ট্রেনের অগ্রিম টিকিটের যাত্রীদের পাশাপাশি স্টেশন থেকে তাৎক্ষণিক স্ট্যান্ডিং টিকিট কেটে ঈদে বাড়ি যাচ্ছেন শত শত যাত্রী।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে ১৪টি আন্তঃনগর ট্রেনে এবং ২টি ঈদ স্পেশাল ট্রেনে মোট ২০ হাজার যাত্রী ঈদে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরেছেন।
চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের মতো লোকে লোকারণ্য ছিল কদমতলী আন্তঃজেলা বাস স্টেশন, গরীবউল্লাহ শাহ মাজার গেইট এবং বিআরটিসি বাস স্টেশনে দূরপাল্লার বাসগুলোতেও। বাস কাউন্টারগুলোতেও যাত্রীদের ভিড়।
চট্টগ্রাম রেল স্টেশন ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে যাত্রীদের ভিড়। শুক্রবার সকাল থেকে স্টেশন এলাকা লোকারণ্যে পরিণত হয়েছে। ঈদে সার্বিক নিরাপত্তা ও সুন্দর পরিবেশে যাতে যাত্রীরা গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন সেজন্য আমাদের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি রয়েছে।
ঈদ উপলক্ষে যাত্রীদের চাহিদার কারণে নিয়মিত আন্তঃনগর ট্রেনের পাশাপাশি অনেক ট্রেনে ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।
স্টেশন ম্যানেজার বলেন, চট্টগ্রাম থেকে ১৪টি আন্তঃনগর ট্রেনের পাশাপাশি ৪ জোড়া স্পেশাল ট্রেন চালু হয়েছে। সুবর্ণ, সোনার বাংলা, কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেস ছাড়া অন্যান্য সকল ট্রেনে ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। ১ জোড়া কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন, ১ জোড়া ময়মনসিংহগামী স্পেশাল এবং চাঁদপুরগামী ২ জোড়া স্পেশাল ট্রেনও চালু হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৪
বিই/এসি/টিসি