চট্টগ্রাম: রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানির পশু কেনার শেষ সময়ে নগরের গরুর হাটগুলোতে পড়েছে বেচাকেনার ধুম।
রোববার (১৬ জুন) বিকেলে নগরের নগরের স্থায়ী হাট সাগরিকা বাজার, বিবিরহাট, কর্ণফুলী গরুবাজার, সল্টগোলা রেলক্রসিং-সংলগ্ন হাট ও দক্ষিণ পতেঙ্গার বাটারফ্লাই পার্কসংলগ্ন খালি মাঠ ও পতেঙ্গা লিংক রোড সংলগ্ন খেজুর তলা মাঠের গরুর বাজারে ঘুরে দেখা মিললো এমন দৃশ্যের।
ব্যাপারীরা জানিয়েছেন, প্রথমদিকে বিক্রি তেমন ভালো না হলেও বৃহস্পতিবার থেকে বেড়েছে ক্রেতাদের সমাগম। তবে এ বছর বড় গরুর চেয়ে ছোট গরুর দিকেই বেশি ঝুঁকছেন ক্রেতারা। শেষ মূহূর্তে এসে ছোট গরু কিনছেন বেশিরভাগ মানুষ।
চুয়াডাঙ্গা থেকে মইজ্জারটেক গরুর বাজারে গরু এনেছেন ব্যাবসায়ী নজরুল ইসলাম।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, কোরবানির দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই ক্রেতাদের আনাগোনা বেড়েছে৷ বৃহস্পতিবার থেকে আজ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি গরু বিক্রি হয়েছে। আমার ২০টা গরুর মধ্যে এ পর্যন্ত ১৮টা গরু বিক্রি হয়েছে গেছে, আর মাত্র ২টি গরু আছে। আশাকরি রাতেই সেগুলো বিক্রি হয়ে যাবে। বড় গরু যারা কেনেন, তারা এবার বিভিন্ন অ্যাগ্রো ফার্মের দিকেই ছুটছেন বলে দাবি এ গরু বেপারির।
বিবির হাট বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, আড়াই থেকে সাড়ে তিন মণ ওজনের দেশি গরু ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার, চার মণ থেকে পাঁচ মণ ওজনের গরু ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার, পাঁচ মণ থেকে আট মণ ওজনের গরু এক লাখ ৬০ থেকে এক লাখ ৮০ হাজারে বিক্রি হচ্ছে।
চাহিদা বাড়তি থাকায় বিক্রেতারা ছোট গরুর দাম তুলনামূলক বেশি দাবি করলেও বড় গরু তুলনামূলক কম দামেই মিলছে এ হাটে। দশ থেকে বারো মণ ওজনের বেশি গরু মিলছে দুই লাখ থেকে আড়াই লাখে।
নগরের বিবির হাট রেল লাইনের পাশে বসেছে বিশাল ছাগলের বাজার। সেখানেও ছিলো ক্রেতাদের ভিড়। সেখানে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকার ছাগল রয়েছে। তবে, বেশি বেচাকেনা হচ্ছে ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা দামের ছাগল।
ছাগল বিক্রেতা জসিম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আমি ১০টি ছাগল এনেছিলাম। এরমধ্যে ৮ বিক্রি হয়ে গেছে। বাকি দুটি রয়েছে। সেগুলো বিভিন্ন দাম চাচ্ছে কেনা দামে পেলেও বিক্রি করে দেব বলে জানান তিনি।
বিবিরহাট বাজারের ইজারাদাররা জানান, গরু বেচাকেনা অনেক বেড়েছে। আগের মতো না ঘুরে প্রথম দেখাতেই গরু কিনছেন ক্রেতারা। বড় গরুর চেয়ে ছোট গরুর চাহিদা বেড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২৩
বিই/পিডি/টিসি