চট্টগ্রাম: কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির ব্যবস্থাপনায় ঈদুল আজহার প্রধান ঈদ জামাত স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়।
ঈদ জামাতের বক্তারা বলেন, কোরবানির অর্থ কেবল পশু জবেহ করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়।
ঈদ জামাত কমিটি প্রধান উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম বলেন, নামাজ হলো ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যের জায়গা। আমাদের যে সম্প্রীতির বন্ধন সেটি যেন অটুট রাখতে পারি সেজন্য আমরা দোয়া করবো। গরীব দুখী মেহনতি মানুষের পাশে দাঁড়াবো। তাদের সুখ-দুখে এগিয়ে যাবো। গত ঈদে যারা ছিল আজ তারা বেঁচে নেই। আমরা তাদের জন্য দোয়া করবো।
চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ ড. আজিজ আহমেদ ভূঞা বলেন, গাজায় নির্যাতিত মুসলিম ভাইদের জন্য দোয়া করবো। পশু কোরবানির মাধ্যমে মনের পশুত্ব ত্যাগ করবো। যারা উপস্থিত নেই এবং যারা উপস্থিত আছে আমরা সবার জন্য তথা পুরো মুসলিম উম্মার জন্য দোয়া করবো।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, আল্লাহ যেন আমাদের নামাজ কবুল করেন। মুসলিম উম্মার জন্য দোয়া করি। মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করি। যারা হজ পালন করতে গেছেন মহান আল্লাহ রাবুল আলামীন যেন তাদের হজকে কবুল করেন।
তিনি বলেন, আল্লাহর কাছে কোরবানির পশুর রক্ত এবং মাংসের কোনই মূল্য নেই। তিনি তো মানুষের হৃদয় দেখেন। এই কোরবানির মাধ্যমে আমি কতটা নিজেকে পরিবর্তন করেছি, এটাই মূল বিষয়। আসলে আমরা যদি নিজেদের পশুসুলভ হৃদয়কে কোরবানি দিয়ে একে অপরের জন্য হয়ে যাই তাহলে কতই না উত্তম হতো।
প্রধান ঈদ জামাতে ইমামতি করেন বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ আল্লামা ড. সাইয়েদ আবু নোমান। তিনিও ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য দোয়া ও মুক্তি কামনা করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল মালেক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান, সিনিয়র সহকারী কমিশনার রাজিব হোসেন, কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত সিদ্দিকী, পতেঙ্গা সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিমরান মোহাম্মদ সায়েক, আগ্রাবাদ সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ খায়রুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২৩
বিই/এসি/টিসি