চট্টগ্রাম: মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় ঈদুল আজহার নামাজের পরপরই নগরজুড়ে শুরু হয় পশু কোরবানি।
সোমবার (১৭ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের প্রথম জামাতের পর পরই সামর্থ্য অনুয়ায়ী পশু কোরবানি দিচ্ছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
সোমবার সকালে নগরের, কাজীর দেউড়ি, মুরাদপুর, চকবাজার, বহদ্দারহাট, দুই নম্বর গেইট, জিইসি, মুহাম্মদপুর, কাতালগঞ্জ, বাকলিয়া, আলকরণ, জামালখান, নিউমার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাসা বাড়ির সামনে ও রাস্তার একপাশে কোরবানির পশু গরু-ছাগল জবাই করা হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, ত্যাগের মহিমায় যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পশু কোরবানি করছেন চট্টগ্রামের মানুষ। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য স্থান নির্ধারণ করে দিলেও কেউ কোরবানি দিচ্ছেন রাস্তায় আবার কেউবা কোরবানি দিচ্ছেন বাসা বাড়ির গ্যারেজে। কসাইরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। চামড়া ছাড়িয়ে মাংস কাটার কাজ করছেন তারা।
এদিকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে দ্রুত পশুর বর্জ্য অপসারণে প্রস্তুত করা হয়েছে লোকবল। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ছোট ছোট ভ্যান, কোদালসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে তাদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণের কথা জানায় সিটি করপোরেশন।
নগরের চকবাজার এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, মহান আল্লাহতালার সন্তুষ্টির জন্য প্রতিবারের ন্যায় এ বছরও গরু কোরবানি দিয়েছি। দুইজন কসাই নিয়েছি। তারা খুব স্বল্প সময়ে চামড়া ছাড়িয়ে মাংস ভাগ করে দিয়েছেন।
জানা গেছে, অনেকে কসাইয়ের অভাবে কোরবানি দিবেন দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২৩
বিই/এসি/টিসি