চট্টগ্রাম: এ বছর চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরে সাড়ে ৮ লাখ থেকে পৌনে ৯ লাখ পশু কোরবানি হওয়ার কথা। তবে বিক্রি হয়েছে ১৯ লাখ ৭৪ হাজার পশু।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, উপজেলা ও মহানগর মিলিয়ে স্থায়ী ৭২টি ও অস্থায়ী ১৭৬টি পশুর হাটে এবার বেচাকেনা হয়। ফটিকছড়িতে ৪৫টি, মীরসরাইয়ে ২৭টি, হাটহাজারীতে ২৩টি, সন্দ্বীপে ২০টি, লোহাগাড়ায় ১৬টি, রাঙ্গুনিয়ায় ১৬টি, রাউজানে ১৬টি, সীতাকুণ্ডে ১৪টি, বাঁশখালীতে ১২টি, আনোয়ারায় ১১টি, বোয়ালখালীতে ১০টি, পটিয়ায় ৯টি, চন্দনাইশে ৯টি, সাতকানিয়ায় ৬টি ও কর্ণফুলী উপজেলায় ৪টি পশুর হাট বসেছিল। নগরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে বসেছিল ১০টি পশুর হাট।
বাজারে প্রচুর গরু থাকলেও বেচাকেনায় ছিল না গতি। ঈদুল আজহার আগের দিন বিক্রেতারা সস্তায় বিক্রি করে দিয়েছেন গরু। দুই লাখ ২০ হাজার টাকা দাম হাঁকানো গরু শেষ পর্যন্ত এক লাখ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্যমতে, চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর মিলিয়ে পাঁচ লাখ ২৬ হাজার গরু, ৭০ হাজার মহিষ এবং প্রায় ৩ লাখ ছাগল ও ভেড়া কোরবানি হওয়ার কথা। গরু ও অন্যান্য পশু মিলিয়ে মজুত ছিল ৮ লাখ ৫২ হাজার।
বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার সমবায় সমিতির সহ-সভাপতি মো. আবদুল কাদের সর্দার জানান, সোমবার (১৭ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত নগরে প্রায় এক লাখ চামড়া সংগ্রহ হয়েছে। সাড়ে ৩ লাখ চামড়া কেনার আশা করছেন আড়তদাররা।
গাউছিয়া কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ। আমরা এক লাখ চামড়া সংগ্রহ করে ফেলেছি’।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, কী পরিমাণ পশু কোরবানি হয়েছে, তার তথ্য পেতে আরও দুয়েকদিন সময় লাগবে। পেশাদার কসাইয়ের সংকটের কারণে ঈদের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবারও (১৮ জুন) নগর ও জেলায় বিভিন্ন স্থানে পশু কোরবানি দেওয়া হচ্ছে।
২০২৩ সালে চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৭৭টি গবাদিপশু কোরবানি হয়। এর মধ্যে ১২ লাখ ২৯ হাজার ৬২টি গরু, ৮৭ হাজার ২১৪টি মহিষ, ৬ লাখ ৪১ হাজার ৯৭৮টি ছাগল, ৯৩ হাজার ১৮১টি ভেড়া ও অন্যান্য ৩৪২টি পশু কোরবানি দেওয়া হয়। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয়েছে বলে মত সংশ্লিষ্টদের।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৪ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২৪
এসি/টিসি