চট্টগ্রাম: লক্ষ্যমাত্রার আধাঘণ্টা আগেই চট্টগ্রামে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)৷
সোমবার (১৭ জুন) বিকেল ৫টার মধ্যে নগরীকে কোরবানির বর্জ্যমুক্ত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করলেও বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রায় সব কোরবানির বর্জ্য পরিচ্ছন্ন করতে সক্ষম হয়েছে চসিক।
সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী চসিকের একটি টিমকে সাথে নিয়ে নগরের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে কোরবানির বর্জ্যমুক্ত অবস্থায় পেয়ে বিকাল সাড়ে ৪টায় প্রথম ধাপের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন ঘোষণা করেন।
তবে চট্টগ্রামে অনেকে দুপুরের পর এবং সন্ধ্যায় কোরবানি করে থাকেন। এসব বর্জ্যও রাত আটটার মধ্যে পরিচ্ছন্ন করা হয় বলে জানান চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমি৷
মেয়র বলেন, বিকাল পাঁচটার মধ্যে নগরের সমস্ত কোরবানির বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে আমাদের প্রায় ৪ হাজার কর্মী কাজ করেছে।
‘নগরে অনেকে দুপুর বা সন্ধ্যায়ও কোরবানি দেন, আবার কিছু প্রান্তিক এলাকায় পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিচালনা কিছুটা কঠিন। এসব বর্জ্য রাত আটটার মধ্যে পরিচ্ছন্ন করতে দ্বিতীয় ধাপে কাজ হয়৷ নাগরিকদের কোরবানির বর্জ্য সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণে দামপাড়ায় কন্ট্রোল রুম চালু আছে৷ কোথাও কোন কোরবানির বর্জ্য থাকলে আমাদের জানালে তা পরিস্কার করা হচ্ছে’।
কোরবানির চামড়া প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, আমাদের লক্ষ্য জাতীয় সম্পদ চামড়া যাতে নষ্ট না হয়। এজন্য চামড়া ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সাথে আমরা সমন্বয় সভা করেছি। আশা করি কোন চামড়া নষ্ট হবে না এবার।
মেয়রের সাথে নগরের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, চসিক বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, আবদুস সালাম মাসুম, পুলক খাস্তগীর, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, আকবর আলী, নির্বাহী প্রকৌশলী তৌহিদুল হাসান, মশক নিধন কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহি, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম, সহকারী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন রিফাত, অনিক দাশগুপ্তসহ চসিকের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২৪
এসি/টিসি