চট্টগ্রাম: সকালে পুত্র সন্তান জন্ম দিয়ে খুশিতে ফেসবুকে সকলের দোয়া চেয়ে পোস্ট দিয়েছিলেন নাজমিন আক্তার নামে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার এক গৃহবধূ। কিন্তু সেদিন রাতেই মৃত্যু হয় এই গৃহবধূর।
বুধবার (১৯ জুন) বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে তাঁর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এমরুল করিম রাশেদ প্রয়াত গৃহবধূ নাজমিন আক্তারের শ্বশুর বাড়ি উপজেলার চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাট এলাকায় যান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান শেখর বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবু তাহের, চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হারুন সওদাগর, আওয়ামী লীগ নেতা মো. ফোরকান, আলী আজগর, ইকবাল হোসেন বাবলু প্রমুখ।
এ সময় নবজাতক শিশুপুত্রের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে উপহারসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। স্ত্রীর এমন মৃত্যুতে শোকাহত প্রবাস ফেরত স্বামী মো. রিমন ও তার স্বজনরাও নবজাতকের খোঁজ নেওয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
গত ১১ জুন সকালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দেন স্ত্রী মাহবুবা নাজমিন; আর রাতেই বিভিন্ন জটিলতায় তিনি মারা যান। ১২ জুন সন্ধ্যায় স্ত্রীর মৃত্যু সংবাদে স্বামী রিমন দেশে ফিরেছেন। দেশে ফিরে স্ত্রীর দাফনসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সারেন তিনি। স্ত্রীর এমন মৃত্যুতে সমবেদনা জানানোয় সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিও তিনি ধন্যবাদ জানান। তার প্রিয়তমা স্ত্রীর রেখে যাওয়া সন্তান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ছেলে হলে আমার স্ত্রী নাম রাখতে চেয়েছিলেন রিহান। তাই মায়ের ইচ্ছে অনুযায়ী ছেলের নাম রেখেছেন রিহান। বর্তমানে দেখভাল করছেন রিমনের বোন। বোনেরও নিজের দুই সন্তান রয়েছে। দুই সন্তানের মতো করেই আমার ছেলেকেও দেখছেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৬ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৪
পিডি/টিসি