চট্টগ্রাম: কর্ণফুলী উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে খালের মুখে দ্বিতল ভবন ও দেয়াল নির্মাণ করে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ রাখার অভিযোগ উঠে। পরে অভিযান পরিচালনা করে অবৈধভাবে গড়া এসব স্থাপনা ও অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
বুধবার (২৬ জুন) দুপুরের দিকে উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের বাদামতল এলাকার নদীপাড়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) পিযুষ কুমার চৌধুরী এ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন সিএমপি কর্ণফুলীর পুলিশ ও চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা উজ্জ্বল কান্তি দাশ।
জানা গেছে, চরপাথরঘাটার ১ নম্বর সিটে সরকারি খাস খতিয়ানভূক্ত এই খালে ২৮৫ দাগে জমি রয়েছে প্রায় ৮৭ শতক। কিন্তু খালটির পুরানো ঐতিহ্য হারিয়ে গেছে দখলের কারণে। আগে খালটির প্রশস্ততা ছিল ৪০ থেকে ৫০ ফুট। কোনো কোনো জায়গায় ৩০ ফুট। এখন তা দিনে দিনে দখলে সংকুচিত হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পিযুষ কুমার চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, খাল মুখে বিভিন্ন স্থানে স্থাপনা তৈরি করে বাঁধা সৃষ্টি করা হয়েছে। পরে আমরা তা অবমুক্ত করে দিয়েছি। নিজেরাও কিছু সরিয়ে নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাদামতল খালকে পুরনো রূপে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। কেননা, জলাবদ্ধতা নিরসনে উচ্ছেদ অভিযান এবং খাল খনন করতে চরপাথরঘাটার সব খালের অবস্থা পরিদর্শন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২৪
বিই/পিডি/টিসি