ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ট্রেনে ধর্ষণকাণ্ড, খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম স্থগিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৪ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৪
ট্রেনে ধর্ষণকাণ্ড, খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম স্থগিত ...

চট্টগ্রাম: চলন্ত আন্তঃনগর ট্রেনে তরুণীকে (১৯) ধর্ষণের ঘটনায় খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এস এ করপোরেশনের কার্যক্রম স্থগিত করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এর আগে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এই প্রতিষ্ঠানের তিনজন কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করে রেলওয়ে পুলিশ।

 

বুধবার (২৬ জুন) রাতে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে পাহাড়িকা ও উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এস এ করপোরেশনের সব কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ দেওয়া হয়।  

এতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৫ জুন দিবাগত রাত ১০টায় সিলেট স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী ৭২৪ নম্বর উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে ক্যাটারিং সার্ভিস প্রদানের জন্য আপনার প্রতিষ্ঠানের নিয়োজিত কর্মচারী শরিফ এবং তার সহযোগীরা একটি অপরাধ সংঘটিত করেছে মর্মে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে।

এমতাবস্থায়, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত পাহাড়িকা-উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে আপনার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত ক্যাটারিং সার্ভিস পরিচালনা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হলো।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) নাজমুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে খাবার সরবরাহের দায়িত্ব ছিল এস এ করপোরেশনের। এই প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন কর্মী ধর্ষণে জড়িত থাকায় প্রতিষ্ঠানটির সেবা স্থগিত করা হয়েছে। প্রমাণিত হলে চুক্তিও বাতিল করা হবে।  

নাজমুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই নারী সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. জামাল (২৭), মো. শরীফ (২৮) ও মো. রাশেদ (২৭)। এছাড়াও এ ঘটনায় ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) আবদুর রহিমকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।  

চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশ সুপার হাছান চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, উদয়ন এক্সপ্রেসের খাবারের বগিতে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ওই তরুণী পুলিশের হেফাজতে আছে। তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ওই তরুণী সিলেট থেকে উদয়ন এক্সপ্রেসে করে চট্টগ্রামে আসছিলেন। খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন কর্মী তরুণীকে প্রথমে উত্ত্যক্ত এবং পরে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করেছেন। সিলেট গিয়েছিলেন ভাইয়ের বাসায়। তাঁর বাড়ি বান্দরবানে।  

জানা গেছে, এসএ করপোরেশনের মালিক শাহ আলম নামের এক ঠিকাদার। প্রতিষ্ঠানটি উদয়ন এক্সপ্রেস ছাড়াও সুবর্ণ ও তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনেও খাবার সরবরাহ করে থাকে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৪ 
বিই/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।