ঢাকা, বুধবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ডলার সংকটের অর্থবছরেও চট্টগ্রাম বন্দরের প্রবৃদ্ধি

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০২৪
ডলার সংকটের অর্থবছরেও চট্টগ্রাম বন্দরের প্রবৃদ্ধি ...

চট্টগ্রাম: ডলার সংকটের অর্থবছরেও দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ৫ দশমিক ৩৬ ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে ৪ দশমিক ১৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।  

২০২৩-২৪ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৯০ টিইইউস (২০ ফুট দৈর্ঘ্য হিসেবে)।

এর আগের অর্থবছরে যা ছিল ৩০ লাখ ৭ হাজার ৩৭৫ টিইইউস। এবার প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
 

২০২৩-২৪ অর্থবছরে কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ১২ কোটি ৩২ লাখ ৪২ হাজার ৭২৪ মেট্রিক টন। এর আগের অর্থবছরে যা ছিল ১১ কোটি ৮২ লাখ ৯৭ হাজার ৬৪৩ টন। এবার প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ১৮ শতাংশ।  
 
কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে প্রবৃদ্ধি হলেও বন্দরে জাহাজ আসার পরিমাণ ৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ কমেছে। সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে বন্দরে জাহাজ হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩ হাজার ৯৭১টি, এর আগের অর্থবছরে ছিল ৪ হাজার ২৫৩টি।  

সার্বিক বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, বন্দরের আধুনিক হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট সংযোজন, অটোমেশন, অভিজ্ঞতা, দক্ষ ব্যবস্থাপনা  ও নতুন নতুন উন্নয়ন প্রকল্প ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কারণে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে।  

জাহাজ কম আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপনারা জানেন চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে আগের চেয়ে বড় জাহাজ ভিড়তে পারছে। বড় জাহাজে একসঙ্গে বেশি পণ্য ও কনটেইনার পরিবহন করা হয়। এতে জাহাজের সংখ্যা কিছুটা কমতে পারে। আমরা চাই বড় জাহাজে বেশি পণ্য পরিবহনের সুযোগ সৃষ্টি করতে। এতে জাহাজ ভাড়া কম পড়বে, আমদানি ও রপ্তানিকারকরা তথা দেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে।  

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সদ্য বিদায়ী অর্থবছর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশি অপারেটরদের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। এতে বন্দরের আয় বাড়ছে। বে টার্মিনালে বিনিয়োগ বাড়ছে। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। দেশের অর্থনীতির সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ।  

এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, দেশের অর্থনীতি বড় হচ্ছে। জাতীয় বাজেট বাড়ছে। বাড়ছে আমদানি ও রপ্তানি। তারই প্রতিচ্ছবি চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং প্রবৃদ্ধি। আমরা আশাকরি, দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় শামিল থাকতে চট্টগ্রাম বন্দর সক্ষমতার পরিচয় দেবে। বন্দর নতুন নতুন প্রকল্প ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির চাপ গ্রহণে প্রস্তুত থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।