চট্টগ্রাম: সাতকানিয়ায় ১৪ বছরের কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও সহায়তা করার অপরাধে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য আবদুল আলিমসহ ৫ জনের নামে মামলা হয়েছে। ২৭ জুন সাতকানিয়া থানায় মামলা রেকর্ড করা হলেও বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) জানাজানি হয়।
আবদুল আলিম ছাড়া এই মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, একই ইউনিয়নের ফতেহ আলী মুহুরীপাড়ার মাইনুদ্দিন হাসান (২২), মফিজুর রহমান (৪৮), মো. জিহাদ (২২) ও ফারুক (৩০)।
মামলার বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল হাই মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ১৩ জুন চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মো. জাকির হোসেনের আদালতে মামলার আবেদন করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাতকানিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুর রব বাংলানিউজকে বলেন, ১৪ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও সহায়তা করার অপরাধে পাঁচজনের নামে মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। কিশোরীর ডিএনএ টেস্টের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
মামলা এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামি আবদুল আলিম এলাকার কিশোর গ্যাং এর লিডার। আবদুল আলিমের নেতৃত্বে এলাকায় আসামি মাইনুদ্দিন হাসান, মফিজুর রহমান, জিহাদ ও ফারুক বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। মাইনুদ্দিন হাসান আসা-যাওয়ার পথে ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এ ঘটনায় স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে ভুক্তভোগীর অভিভাবকরা অবগত করেন। ১২ জানুয়ারি কিশোরীর কোনো সন্ধান না পাওয়ায় সাতকানিয়া থানায় মামলা নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।
গত ১১ জানুয়ারি ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে আসামিরা। কিশোরী মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় মামলা করতে দেরি হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২৪
এমআই/এএটি/টিসি