চট্টগ্রাম: সিএমপি কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম বলেছেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের সময় একটি ভবনে আটকে পড়া অর্ধশতাধিক তরুণ-যুবককে ছাদ থেকে ফেলে নির্মম নির্যাতন করা দুঃখজনক।
বুধবার (১৭ জুলাই) সকালে নগরের মুরাদপুরে সংঘর্ষের ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, হামলা ও সংঘাতের বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ দেখে ধারণা করা হচ্ছে, কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীর ব্যানারে ছাত্রশিবির পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) মুরাদপুর ও শুলকবহর এলাকায় সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে প্রায় ৭৮ জন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন।
নিউরোসার্জারি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা চট্টগ্রাম কলেজের দুই ছাত্র ইকবাল ও পারভেজকে ভবনের ছাদ থেকে নিচে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি জাহিদ হাসান। পরে ইকবাল ও পারভেজকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষের মধ্যে ধাওয়া খেয়ে ছাত্রলীগের ১৫-২০ জন কর্মী মুরাদপুর বেলাল মসজিদের পাশের ৫ তলা ভবনের ছাদে আশ্রয় নেন। পরে আন্দোলকারীরা ওই ভবনে উঠে মারধর শুরু করে। এ সময় ছাত্রলীগ কর্মীরা পাইপ বেয়ে নিচে নামার চেষ্টা করে। কয়েকজনকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেওয়া হয়, চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা হয়। আন্দোলনকারীদের হামলায় ভবনের ছাদে আশ্রয় নেওয়া সরকারি হাজি মুহাম্মদ মহসীন কলেজ ছাত্রলীগের নেতা জালাল উদ্দিন জুবায়ের নিচে পাথরের ওপর পড়ে গুরুতর আহত হন। এ অবস্থায় তার হাত ও পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী জালাল উদ্দিনের চোখ উপড়ে ফেলার অভিযোগ করেন তার সহপাঠীরা। এছাড়া ১০ জন পার্কভিউ হাসপাতালে, চারজন ন্যাশনাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জাহেদ অভি নামের আহত এক ছাত্র বলেন, দুই নম্বর গেট এলাকায় অক্সিজেন থেকে আসা মিছিল থেকে পাথর নিক্ষেপ শুরু করে। প্রাণে বাঁচতে আমরা ১০ জন একটি ভবনে উঠে গেলে কোটাবিরোধী ছাত্ররাও উপরে উঠে নির্যাতন চালায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২৪
এসি/টিসি