চট্টগ্রাম: বড় বড় আম ঝুলছে টবে লাগানো ছোট ছোট গাছে। জাম্বুরা পেকে হলুদ।
নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে রোববার (২৮ জুলাই) বৃক্ষমেলার শুরুর দিনের চিত্র এটি। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনাসহ নানা আয়োজনে এ মেলার উদ্বোধন হয় এদিন।
চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাসের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ। স্বাগত বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম কায়চার।
মেলায় ‘বাগান বিলাস’ স্টলে রয়েছে পোড়ামাটির আকর্ষণীয় সব তৈজসপত্র, টব, ফুলদানি, কলমদানি, শোপিস, বাঁশ ও বেতের তৈরি দৃষ্টিনন্দন নানা কুটির শিল্পসামগ্রী।
প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার নুসরাত সুলতানা মিম বাংলানিউজকে বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কারিগরদের কাছ থেকে আমরা কুটির শিল্পসামগ্রী সংগ্রহ করে এনেছি। দর্শক-ক্রেতাদের মধ্যে আমাদের স্টলটি সাড়া জাগিয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি নার্সারির বিক্রয়কর্মী জানান, কাটা ড্রামে লাগানো আমসহ চারা জাত ভেদে ১৫-২০ হাজার টাকা দাম হাঁকা হচ্ছে। একেকটি বনসাইয়ের দামও ১০-২০ হাজার টাকা। ছোট ছোট টব ও পলিব্যাগে লাগানো চারার দাম কম।
ঘরের ব্যালকনিতে লাগানোর জন্য পাতাবাহারের চারা কিনতে এসেছিলেন গৃহিণী সোফিয়া আকতার। তিনি জানান, ঢাকায় বৃক্ষমেলা শুরু হয়েছে অনেক আগে। চট্টগ্রামে দেরিতে শুরু হলো। তারপরও আমরা খুশি। মেলায় দেশি বিদেশি নানা প্রজাতির গাছের চারা মেলে। দরকষাকষির সুযোগও থাকে। এবারের মেলায় চমৎকার সব ফুল ফলের চারা দেখা যাচ্ছে।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম কায়চার বাংলানিউজকে বলেন, পলোগ্রাউন্ডে প্রথমবারের মতো বন বিভাগের বিভাগীয় বৃক্ষমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৫ দিন ব্যাপী মেলায় সরকারি-বেসরকারি মিলে ৭০টি প্রতিষ্ঠান, নার্সারি অংশ নিচ্ছে। ফলদ, বনজ, ঔষধি গাছের চারার পাশাপাশি বাহারি ফুলের চারাও পাওয়া যাচ্ছে মেলায়। বন বিভাগের দুইটি প্রদর্শনী স্টল রয়েছে।
তিনি জানান, বৃক্ষমেলা সবার জন্য উন্মুক্ত।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি