চট্টগ্রাম: ‘বাঙালির ধ্রুবতারা বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরদিন প্রথম কর্মদিবসেই ইংরেজি ভাষায় লেখা নথি ফেরত দিয়েছিলেন। বলেছিলেন বাংলা ভাষায় নথি উপস্থাপন করতে।
রোববার (৪ আগস্ট) চট্টগ্রাম একাডেমির ফয়েজ নুরনাহার মিলনায়তনে শৈলী প্রকাশন আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলনে বঙ্গবন্ধু’ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ লেখেন ভাষাবিদ ড. শ্যামল কান্তি দত্ত। প্রবন্ধটি উপস্থাপন করেন লেখক-সাংবাদিক আরিফ রায়হান।
আলোচকেরা বলেন, বাঙালি জাতির সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। তাঁকে বাদ দিয়ে বাঙালি জাতির ইতিহাস লেখা সম্ভব নয়। সুতরাং, সর্বস্তরে বাংলা প্রচলনে বঙ্গবন্ধু যে প্রতিকূলতা মোকাবেলা করেছেন, তা বিবেচনায় নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা প্রণয়ন করে এগিয়ে যেতে হবে। সর্বস্তরে বাংলা প্রচলনের আগে শিক্ষাক্ষেত্রে একমাত্র মাধ্যম বাংলা ভাষা করতে হবে। বাংলাদেশের সব নিয়োগ পরীক্ষার ভাষামাধ্যম কেবল বাংলা রাখতে হবে। তবেই আমাদের সন্তানেরা বাংলা ভাষা ও বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা করবে। বাংলা ভাষার উন্নয়ন হলে বাংলাদেশের উন্নয়নের গতি কেউ রুখতে পারবে না।
কবি রাশেদ রউফের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন শিশুসাহিত্যিক অরুণ শীল, লেখক-সংগঠক গৌতম কানুনগো, কানিজ ফাতেমা লিমা, এম কামাল উদ্দিন প্রমুখ।
এদিকে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সোমবার থেকে ‘বাঙালির ধ্রুবতারা বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক ধারাবাহিক অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি