চট্টগ্রাম: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্র-জনতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান তিনি।
এসময় তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহত ছাত্র-জনতার পাশে থাকতে জেলা প্রশাসন সচেষ্ট। আন্দোলনের বিভিন্ন সময়ে আহত প্রায় ৩৫ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে, ৩ জনের চোখ গুলিবিদ্ধ হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাস্থ জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের চিকিৎসার পাশাপাশি সার্বিক বিষয়ে ডিউটিরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং চিকিৎসাধীন ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে আলাপ করে পাশে থাকার আশ্বাস দেন ডিসি।
পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের প্রত্যেক ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়। মোট ২৬ জনের জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করেন জেলা প্রশাসন।
ইতোমধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য একজনকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসাইয়েন্স ও একজনকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থোপেডিক রিহ্যাবিলিটেশনে (নিটোর) পাঠানোর জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়।
জেলা প্রশাসক বলেন, শুধুমাত্র চিকিৎসা ও আর্থিক সহায়তা নয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহত ছাত্র-জনতার পরিবারের পাশে দীর্ঘমেয়াদে থাকতে আমরা বদ্ধপরিকর। বুধবার সকালে আমরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পরলোকগত শহীদ ইশমামের বড় ভাই মুহিবুল হকের হাতে চিড়িয়াখানায় চাকুরির নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছি। শুধুমাত্র শহীদ ইশমাম নয়, আন্দোলনে শহীদ ও আহত ছাত্র-জনতার জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের এ ধরণের মানবিক উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে এবং তাদের পরিবারের অন্তত একজন সদস্যকে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করা হবে।
পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক এবং শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ সাদিউর রহিম জাদিদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) একেএম গোলাম মোর্শেদ খান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২৪
বিই/পিডি/টিসি