চট্টগ্রাম: জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, গত ৫ তারিখ বাংলাদেশে একটা পরিবর্তন হয়েছে। এ পরিবর্তনটা খুব সহজে আসে নাই।
বুধবার (২১ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে থাকা আহত রোগীদের খোঁজ খবর নেন।
তিনি আরও বলেন, একটা সরকার বিদায় নিলো মানুষকে জ্বালাতন করে। আরেকটা সরকার যেন না আসে মানুষকে জ্বালাবার জন্য। আমরা চাই, এই ধরনের সরকারের পুনরাবৃত্তি না হোক। হাজারো ছাত্র-জনতার ত্যাগের বিনিময়ে যে পরিবর্তনটা এসেছে, সেটা যেন জনগণের কাজে লাগে।
জামায়াত আমির বলেন, আমরা সংগত কারণে সবার কাছে যেতে পারিনি। যাদের দেখেছি, তাদের মুখে সন্তুষ্টির হাসি দেখেছি। তারা বলেছেন, এখানকার (চমেক) চিকিৎসার উপর তারা পুরোপুরি সন্তুষ্ট। তাদের সন্তুষ্টি আল্লাহ তায়ালা কবুল করুন।
‘এখানে যারা কর্তব্যরত চিকিৎসক আছেন। আল্লাহ তাদের হাইয়াতে তাইয়্যাবা দান করুন। তাদের যোগ্যতা বাড়িয়ে দিন। এবং দেশের জন্য যাতে তারা আরও বেশি করতে পারেন সেই তৌফিক দিন। এই রোগীগুলোকে উনাদের কাছে আমানত হিসেবে রেখে যাচ্ছি। ’
এর আগে বুধবার (২১ আগস্ট) পৌনে ৯টার দিকে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছান জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ। এসময় ডা. শফিকুর রহমানকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তাসলিম উদ্দিন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ শান্তের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় তিনি বলেন, শান্ত আমাদেরই সন্তান। সে যে কাজে শহীদ হয়েছে, সেটি অত্যন্ত গৌরবের। আমরা একটা জুলুমের মধ্যে ছিলাম। আল্লাহ ১৮ কোটি মানুষকে নাজাত দিয়েছেন। এই ছেলেদের জীবন রক্ত আল্লাহ কবুল করেছেন। আল্লাহ আপনাদের সবর দিন। আপনাদের ভরন পোষণের জন্য আমরা আল্লাহকেই আপনাদের জন্য নিয়োজিত করলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২৪
বিই/পিডি/টিসি