চট্টগ্রাম: মিরসরাইয়ে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে পানিবন্দী হয়ে দুর্বিষহ জীবন কাটছে ১২ হাজার মানুষের। উপজেলার ৩০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৬ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
বন্যায় উপজেলার করেরহাট, ওসমানপুর, ইসাখালি, কাটাছড়া, খৈয়াছড়া ও ধুম ইউনিয়ন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাহাড়ি ঢলে অনেক বাড়িঘরসহ ভেঙে গেছে রাস্তাঘাট।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম ফজলুল হক জানান, উপজেলার ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। তাই বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজা জেরিন জানান, বন্যাকবলিত মানুষকে উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনীর দুটি ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। সেনা সদস্যরা ১৭টি বোট নিয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছেন।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য ৫০ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ চার লাখ টাকার সরকারি অনুদান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ফেনীর ছাগলনাইয়া থেকে অনেক মানুষ শুভপুর ব্রিজ পার হয়ে আশ্রয়ের জন্য মিরসরাইয়ে চলে এসেছেন।
পশ্চিম জোয়ার এলাকার মো. জাকারিয়া জানান, জন্মের পর এত পানি দেখিনি। ফেনী নদীর পাড়ে করেরহাট, হিঙ্গুলী ও ধুম ইউনিয়নের মানুষ বেশি আতঙ্কে আছে।
মিরসরাই উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাসিম আল মাহমুদ জানান, চট্টগ্রামের মুহুরী প্রজেক্ট এলাকার ৯০ ভাগ প্রকল্পের মাছ পানিতে ভেসে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২৪
এসি/টিসি