চট্টগ্রাম: ছয় বছর আগে নির্মমভাবে হত্যার শিকার রাজধানীর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাইদুর রহমান পায়েল। ভাগিনার স্মৃতি ধরে রাখতে মামা ফাহাদ চৌধুরী দিপু গড়ে তুলেছেন পায়েল ফাউন্ডেশন।
২০১৮ সালের ২১ জুলাই প্রিয় ভাগ্নেকে হারানোর পর মানবসেবায় নিজেকে পুরোপুরি মনোনিবেশ করেন ।
শনিবার (২৪ আগস্ট) মিরসরাইয়ে বন্যায় প্লাবিত গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ১ হাজার মানুষের হাতে খিঁচুড়ি-বিস্কুট ও শিশুদের জন্য ২ হাজার ৭০০ পিস কেক ও ৬০০ পিস ১ লিটার পানি বিতরণ করা হয়।
ফাহাদ চৌধুরীর এই উদ্যোগে ছিলেন ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, ফজলে এলাহি তালুকদার মিঠু, ফসিউল আলম রাশেদ, কার্যনির্বাহী সদস্য হামিদুল হক রনি, আব্দুল হালিম হেলাল, মাহমুদ মিশু, মুরাদ হোসেন, কফিল উদ্দিন, তারেক লতিফি, জুয়েল চৌধুরী। সহায়তা দেওয়ার সময় বন্যাকবলিত এলাকার বাসিন্দা সমাজসেবক আব্দুল মতিন ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক টিম লিডার আরিফ এই তাঁদের সহযোগিতা করেন।
২০১৮ সালের ২১ জুলাই রাতে দুই বন্ধু আকিবুর রহমান ও মহিউদ্দিনের সঙ্গে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার পথে রওনা হওয়ার পর নিখোঁজ হন সাইদুর। দুই দিন পর ২৩ জুলাই মুন্সিগঞ্জের ভাটেরচর সেতুর নিচের খাল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে গজারিয়া থানা-পুলিশ। এরপর হানিফ পরিবহনের ওই বাসের সুপারভাইজার জনিকে ঢাকার মতিঝিল এবং চালক জামাল হোসেন ও তাঁর সহকারী ফয়সাল হোসেনকে আরামবাগ থেকে গ্রেফতার করা হয়। সাইদুরের মামা গোলাম সরোয়ার্দী বাদী হয়ে চালক জামাল হোসেন, তাঁর সহকারী ফয়সাল হোসেন ও সুপারভাইজার জনিকে আসামি করে গজারিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
জানতে চাইলে পায়েল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ফাহাদ চৌধুরী দিপু বলেন, ‘আমার সন্তানসম ভাগ্নেকে কিছু মানুষ অমানবিকভাবে হত্যা করেছিল। আমরা তাই মানুষকে বার্তা দিতে চাই আপনারা কখনো অমানবিক হবেন না, ক্ষতি করবেন না। সেই কাজটা আমরা মানবিক কাজের মধ্যে দিয়েই করতে চাই। পায়েল ফাউন্ডেশন আগের ধারাবাহিকতায় এবার বন্যার্ত অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২৪
বিই/টিসি