চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর আনসার বাহিনীর হামলা, গুলি ও মারধরের ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।
সোমবার (২৬ আগষ্ট) চবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল-আমীন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এসএম নছরুল কদির সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে মাধ্যামে এমন প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও বিশ্বের গৌরব, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি অস্থির সময়ে দেশের হাল ধরেছে। কেননা, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালানোর পর আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজ নেতাকর্মীরাও আত্মগোপনে আছেন।
স্বৈরাচারের পতন হলেও প্রশাসনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্বৈরাচারের দোসর ও প্রেতাত্মা এখন রয়ে গেছে। এসব চক্রান্তকারী ও স্বৈরাচারের দোসররা মনে করে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে দেশে প্রতিবিপ্লব ঘটাবে। রোববার রাতে আনসার বাহিনীর কর্মকাণ্ডে তেমনটিই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। গোটা দেশের মানুষ যেখানে বন্যার্তদের সহায়তায় ব্যস্ত, সেখানে আনসার বাহিনী কি করে সচিবালয় অবরুদ্ধ করে, ত্রানবাহী গাড়ি বন্ধ রেখে কিসের ইংগিত দিচ্ছে?
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আনসার বাহিনীর কোনো দাবি দাওয়া থাকলে তা আলোচনা সাপেক্ষ বিষয়। কিন্তু তাদের দাবি মেনে নেয়ার পরও কাউকে অবরুদ্ধ করে রাখার দুঃসাহস দেখালো কীভাবে? আসলে বর্তমান যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রয়েছে তাকে অস্থির করার জন্য এসব পরিকল্পিতভাবে করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা মনে করি ছাত্রজনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে স্বৈরাচারের দোসররা তাসের ঘরে মতো উড়ে যাবে। তাদের কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত হবে যারা স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে রক্ষা করার জন্য কাজ করেছে তাদের অবিলম্বে সরিয়ে দক্ষদের পদায়ন করা। তা না হলে গতকালও আনসাররা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর বুট দিয়ে লাথি দিয়ে শরীর থেতলে দেওয়ার দুঃসাহস দেখিয়েছে। আমরা অবিলম্বে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২৪
এমএ/পিডি/টিসি