চট্টগ্রাম: জাহাঙ্গীর আলম নামে এক চিকিৎসককে ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও অপহরণের অভিযোগে রাউজান থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), দুই উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও এক চিকিৎসকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হারুনের আদালতে মামলার আবেদন করা হলে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) আদেশে মামলাটি রাউজান থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মামলা হিসেবে নিতে নির্দেশ দেন।
মামলার আসামিরা হলেন, রাউজান থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, এসআই টোটন মজুমদার, এসআই শাফায়েত আহমদ,পাইওনিয়ার হসপিটালের চেয়ারম্যান ডা. ফজল করিম প্রকাশ বাবুল, পাইওনিয়ার হাসপাতালের পরিচালক মনজুর হোসেন ও পাইওনিয়ারের সুপারভাইজার মো. জাহাঙ্গীর আলম।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাজমুল হাসান সিদ্দিকী বাংলানিউজকে বলেন, ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে অপহরণের অভিযোগে রাউজান থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি),দুই উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও এক চিকিৎসকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সোমবার মামলার আবেদন করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সালের ১৫ এপ্রিল রাউজান থানার নোয়াপাড়া পথেরহাট এলাকার চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলমকে সাদা পোশাকে ধরে নিয়ে যান রাউজান থানার এসআই টোটন মজুমদার। চিকিৎসক জাহাঙ্গীরকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর তাকে মারধর করা হয়। এর আগে টোটন ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি চিকিৎসক জাহাঙ্গীরের কাছে। টাকা না দিলে ক্রসফায়ারে হুমকি দেন। চিকিৎসকের অপরাধ তিনি বিএনপি করেন। পরে পুলিশের সহযোগিতায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়। অভিযোগ একটি ডায়গনস্টিক সেন্টার এর গাড়িচালক রাসেলের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু পরে রাসেল আদালতে হলফনামা দিয়ে জানান চিকিৎসক জাহাঙ্গীর নামের কাউকে তিনি চিনেন না। তার কাছ থেকে কেউ টাকা নেয়নি। গত ২৯ আগস্ট আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন।
ডা. জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে বলেন, গত ১০ বছর মিথ্যা মামলা হওয়ার পর থেকে চেম্বারে বসে রোগী দেখতে পারেননি। পুলিশ ও অন্য আসামিরা কার নির্দেশে আমাকে মিথ্যা মামলা ফাসিয়েছিলেন, তদন্ত করে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৪
এমআই/পিডি/টিসি