চট্টগ্রাম: শতবর্ষী বাণিজ্য সংগঠন চট্টগ্রাম চেম্বারের সচিব মোহাম্মদ ফারুকের পদত্যাগ দাবি করেছেন এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের নেতারা।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) আগ্রাবাদের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানানো হয়।
সচিবের বিরুদ্ধে চেম্বারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি,৭ বছর ধরে অকারণে কর্মচারী ছাঁটাই, চাকরি স্থায়ীকরণ ও প্রচলিত সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার পাশাপাশি দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০০৮ সালে ১৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরিতে যোগ দিলেও চেম্বারের সচিবের বেতন অবিশ্বাস্যভাবে বেড়ে এখন ২ লাখ ৬৬ হাজার ৫৪০ টাকা। গত ১৮ জুলাই বোর্ড সভায় আরও ৫০ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা করার চেষ্টা করেন তিনি। চেম্বারের ইতিহাসে নজিরবিহীন ৬৬টি ইনক্রিমেন্ট একসঙ্গে নিয়ে ৭৭ হাজার টাকা বৃদ্ধি করেন। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা ছাড়াই তিনি ডব্লিউটিসিতে যোগ দেন। পুরোনো চেম্বার ভবন (৬ তলা) মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগেই ভেঙে ফেলেন। এর আগে ৭৫ লাখ টাকার ইনটেরিয়র ডেকোরেশন করেন, যা ছিল অর্থ আত্মসাতের অপকৌশল। ডব্লিউটিসিতে টাইলস লাগানোর ১৫ কোটি টাকার কাজ দিয়ে ভাগ পান। চেম্বারের মেগা প্রজেক্ট বাণিজ্যমেলা চেম্বারের তত্ত্বাবধানে না করে জনৈক ব্যক্তিকে দিয়ে চেম্বারকে কোটি কোটি টাকা থেকে বঞ্চিত করে। চেম্বার প্রেসিডিয়াম পদোন্নতি দেওয়ার পরও তিনি অনেকের পদোন্নতি আটকে রাখেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেম্বার সচিব মোহাম্মদ ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, অসুস্থতার কারণে আমি আপাতত অফিস করতে পারছি না। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চেম্বার সচিব নিজে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নেই। বোর্ড বা প্রেসিডিয়ামের সিদ্ধান্ত সচিব বাস্তবায়ন করেন মাত্র।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি