ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৬ কোটি টাকার মার্সিডিজ বেঞ্জ নিলামে উঠছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪
১৬ কোটি টাকার মার্সিডিজ বেঞ্জ নিলামে উঠছে ছবি: ইন্টারনেট হতে সংগৃহীত

চট্টগ্রাম: দেশের সবচেয়ে বড় রাজস্ব আহরণকারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে অনলাইনে বড় আকারের নিলাম চলছে। আগ্রহীরা বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত নিলামে অংশ নিতে পারবেন।

  এ নিলামে তোলা হবে AMG G63 মডেলের ১৬ কোটি ১০ লাখ ৮৯ হাজার ১৩৬ টাকা সংরক্ষিত মূল্যের ব্র্যান্ড নিউ মার্সিডিজ বেঞ্জ এবং ৫ কোটি ১৭ লাখ ৭০ হাজার ৩৪০ টাকা সংরক্ষিত মূল্যের ল্যান্ড ক্রুজার।  

নিলামে থাকছে নানা ধরনের নিটেড, ওভেন, নন ওভেন, পলিয়েস্টার, ডায়েড, কটন, রেয়ন, ডেনিম ফেব্রিকস, লেডিস সু সোল, সিরামিরাকের ফুলদানি, ক্র্যাফট কার্টন, পিভিসি শিট, পার্টস অব অ্যান্টি শপলিফটিং সিস্টেম, ডাইসোডিয়াম সালফেট, পুরোনো কম্বল, কাপড়, ইঞ্জিন অয়েল, টাইলস, সিকিউরিটি ট্যাগ ইত্যাদি।

 

এ নিলামে ৭২ লাখ ৪৭ হাজার ৮৭৬ টাকা সংরক্ষিত মূল্যের আনারস, আপেল, আম, পেয়ারার জুস, স্ট্রবেরি ড্রিংকস তোলা হবে।    

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, যেসব চালানের পণ্য আমদানিকারকেরা খালাস নেন না, ব্যবহার উপযোগিতা থাকে সেগুলো নিলাম করা কাস্টম হাউসের রুটিন কাজ। যেসব পণ্য নষ্ট হওয়ায় ব্যবহার উপযোগিতা হারিয়েছে কিংবা বিপজ্জনক সেগুলো ধ্বংস করা হয়। বুধবার ৪৬ লটের নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।  

চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, ২ হাজার ৭৬৮টি ২০ ফুট দীর্ঘ কনটেইনারে ৪৪ হাজার ২৮৮ টন, ৩ হাজার ১৭০টি ৪০ ফুট দীর্ঘ পণ্য ভর্তি কন্টেইনারে ৬৩ হাজার ৪০০ টন পণ্য রয়েছে। যেগুলো আমদানিকারকরা ছাড় না করায় দীর্ঘদিন ধরে বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে পড়ে রয়েছে। এছাড়া ৩ হাজার ৩৯০ টন ওজনের ৭০ হাজার ৩৯০ প্যাকেজ এলসিএল কার্গো এবং ৫ হাজার ৪৫০ টন ওজনের ৬ হাজার ৮৪৬ প্যাকেজ খোলা (বাল্ক) পণ্য রয়েছে নিলামের জন্য কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিলাম ও পণ্য ধ্বংস কার্যক্রমে ধীরগতির কারণে একদিকে ডলারে আমদানি করা পণ্যের ব্যবহার উপযোগিতা হারাচ্ছে। অন্যদিকে শিপিং এজেন্টের কনটেইনার আটকা পড়ছে বছরের পর বছর। পাশাপাশি এসব কনটেইনার ও কার্গোর কারণে মূল্যবান ইয়ার্ডের জায়গা ও রেফার কনটেইনারে বিদ্যুৎ সংযোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বন্দরও।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।