ঢাকা, মঙ্গলবার, ৮ আশ্বিন ১৪৩১, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সাজেকের পর্যটকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪
সাজেকের পর্যটকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ ...

চট্টগ্রাম: সাজেকে আটকে পড়া পর্যটকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত চোরাচালান নিরোধ আঞ্চলিক টাস্কফোর্স সভা ও বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সনাতন সম্প্রদায়ের  প্রধান ধর্মীয় উৎসব আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ সম্পন্ন করতে প্রতিমা তৈরির স্থান, মণ্ডপে প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার সময়, পূজা মন্ডপের নিরাপত্তা ও বিসর্জন পর্যন্ত সার্বিক নিরাপত্তায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী  নিয়োজিত থাকবে। দুর্গাপূজা নিয়ে কোনো ধরণের গুজবে কান না দিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ বিসর্জনস্থনে পর্যাপ্ত আলোকায়নের ব্যবস্থা করতে হবে।  

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, শুধুমাত্র আজান ও নামাজের সময় পূজা মণ্ডপে উচ্চস্বরে বাদ্য-বাজনা না বাজালে সম্প্রীতি অটুট থাকবে। পূজা চলাকালীন সময়ে যাতে সবার মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকে সে ব্যাপারে মসজিদে নামাজ পরবর্তী বয়ানের ঈমামগণ আগত মুসল্লিদের উদ্বুদ্ধ করবেন।  

তিনি আরও বলেন, পাসপোর্ট অফিসের যাতে দুর্নাম না হয়, সেবা নিতে গিয়ে কেউ যাতে ভোগান্তিতে না পড়ে ও কেউ যাতে কোনো ধরণের সুবিধা আদায় করতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।  

সমন্বয় সভায় তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজের গুনগত মান ঠিক রেখে বিগত দুই মাসের অগ্রগতি ও বাস্তবায়ন কতটুকু তা যথাসময়ে প্রতিবেদন আকারে পাঠাতে হবে। পাহাড় কাটা রোধসহ নদ-নদীগুলোর দখল, দুষণরোধসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ব্যবস্থা নিতে হবে।  

সিডিএ’র কার্যক্রম প্রসঙ্গে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, কোনো বিল্ডিং, মার্কেট ও শপিং মলের জন্য গাড়ি পার্কিং সুবিধা ছাড়া সিডিএ প্ল্যান অনুমোদন করা যাবে না। সরকারি-বেসরকারি পাহাড় ও টিলা শ্রেণির জায়গায় আবাসিক ভবন বা স্থাপনা নির্মাণের নকশা অনুমোদন দেয়া যাবে না। এছাড়া যেসব আবাসিক ভবনের পার্কিং প্লেস মার্কেট ও ফুড কোড বা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে সেগুলোর তালিকা করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে। এগুলো সম্পূর্ণ অবৈধ এবং এসব স্থাপনার তালিকা পাওয়ার পর সংশ্রিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাম্প্রতিক সময়ের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো ক্রমান্বয়ে সংস্থারসহ অফিস ও অফিসিয়াল কার্যক্রমে প্লাস্টিক জাতীয় দ্রব্য ব্যবহার না করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।  

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোয়ায়েল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পৃথক সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নূরী, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি প্রবীর কুমার রায়, সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল মান্নান, বিভাগীয় স্বাস্ত্য পরিচালক ডা. অং সুই প্রু মারমা, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম (চট্টগ্রাম), মো. আমিরুল কায়ছার (কুমিল্লা), মোহাম্মদ সালাউদ্দিন (কক্সবাজার), মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন (চাঁদপুর), মোহাম্মদ দিদারুল আলম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), শাহ মোজাহিদ উদ্দিন (বান্দরবান), রাজীব কুমার সরকার (লক্ষীপুর), মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার  (ফেনী) প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪ 
বিই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।