ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রোহিঙ্গা ভোটার ঠেকাতে ইসির বিশেষ উদ্যোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪
রোহিঙ্গা ভোটার ঠেকাতে ইসির বিশেষ উদ্যোগ ...

চট্টগ্রাম: তিন পার্বত্য এলাকা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ভোটার ঠেকাতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে স্থানীয় এলাকার ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম আরো সহজীকরণ হবে বলে মত সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তাদের।

 

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।

সভায় আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুছ আলী জানান, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত বিশেষ এলাকায় বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা ও ভিনদেশি কোনো নাগরিক যেন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে এর জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

পাশাপাশি প্রকৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তি সহজ করতে এ সিদ্ধান্ত সহায়ক হবে।  

তিনি জানান, চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৫টি জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান এলাকাকে বিশেষ এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। এসব বিশেষ এলাকার নাগরিকদের ভোটার নিবন্ধনের জন্য তিনটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির ভোটার হতে এসএসসি/সমমান বা তদুর্ধ্ব অনলাইন সনদ, ভেরিফাইয়েবল কিইআর কোডযুক্ত অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ, ভেরিফাইয়েবল কিইআর কোডযুক্ত অনলাইন নাগরিকত্ব সনদ এবং বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রয়োজন হবে। তবে সরকারি চাকরিজীবীর সন্তান হলে সরকারি চাকরির প্রমাণ স্বরূপ অফিস প্রধান কর্তৃক সত্যায়িত সার্ভিস বইয়ের কপি, নিয়োগপত্র, যোগদানপত্র প্রদান করতে হবে।

যদি এসএসসি/সমমান বা তদুর্ধ্ব সনদ না থাকে তাহলে তাদের ‘বি’ ক্যাটাগরি হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। এক্ষেত্রে ভোটার হতে ভেরিফাইয়েবল কিইআর কোডযুক্ত অনলাইন জন্ম নিবন্ধন ও অনলাইন নাগরিকত্ব সনদ ছাড়াও বাবা-মায়ের এএফআইএস (অটোমেটিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম) যাচাই, স্থায়ী বাসিন্দা সনদ (জেলা প্রশাসন অথবা পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষেত্রে রাজা কর্তৃক প্রদত্ত) অথবা ভূমিহীন সনদ, অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানের রশিদ বা পর্চা, পাসপোর্ট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলে তবে তার কপিও সংযুক্ত করতে হবে। যদি বাবা-মায়ের মধ্যে একজন বেঁচে থাকে এবং তিনি ভোটার হয়ে থাকলে তার এএফআইএস যাচাই এবং অন্যজনের অনলাইন মৃত্যু সনদ দাখিল করতে হবে। আর বাবা-মা কেউ বেঁচে না থাকলে উভয়ের অনলাইন মৃত্যু সনদ দাখিল করতে হবে।

অন্যদিকে, বিশেষ এলাকার যে সকল বাসিন্দা ভোটার নিবন্ধনের ক্ষেত্রে ক্যাটাগরি ‘এ’ এবং ক্যাটাগরি ‘বি’ এর আওতায় পড়বে না তাদের ‘সি’ ক্যাটাগরি হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। সেক্ষেত্রে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম বিশেষ কমিটির মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে।

সভায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুছ আলী ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. এনামুল হক।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা,  সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪
এমআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।