ঢাকা, শনিবার, ১২ আশ্বিন ১৪৩১, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রামু-ঘুমধুম রেললাইন প্রকল্প বাদ, কমছে ব্যয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৪
রামু-ঘুমধুম রেললাইন প্রকল্প বাদ, কমছে ব্যয় ...

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত প্রথম ধাপে ১০০ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ সিঙ্গেল লাইন রেলপথ নির্মাণ হয়েছে। ২য় ধাপে প্রকল্প সংশোধনের মাধ্যমে বাদ দেওয়া হচ্ছে ২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণকাজ।

বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় রামু-ঘুমধুম অংশ বাদ দিয়ে প্রকল্পের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) দ্বিতীয়বার সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। এতে নির্মাণ ব্যয় ১১ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রস্তাবটি অনুমোদন পেলে এ প্রকল্পের ব্যয় কমবে ৬ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা। এছাড়া প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা অনুমোদিত হলে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৫ সালের ৩০ জুন।

জানা যায়, ২য় ধাপে রামু স্টেশন থেকে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ঘুমধুম পর্যন্ত ২৮ দশমিক ৭২ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কক্সবাজারের উখিয়া ও বান্দরবানের ঘুমধুম দুটি স্টেশন নির্মাণ করার কথা ছিল। ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে রুট-১ এ যুক্ত হওয়ার লক্ষ্যে এ প্রকল্প নেওয়া হয়। তবে এ উদ্দেশ্য অবাস্তব বলে জানান অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তাঁর ভাষ্যে, ‘মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্তের অংশের পুরোটাই পাহাড়ে ঘেরা। এই পাহাড় ভেদ করে মিয়ানমারের মূল অংশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ অবাস্তব স্বপ্ন’।

প্রকল্পটি সংশোধনের কারণে ভূমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন, মূল রেললাইন নির্মাণ, নতুন আরোপিত সিডি-ভ্যাট, পরামর্শক, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ইউনিট ও মূল্য সমন্বয় ব্যয় কমছে। প্রকল্পের বর্তমান ব্যয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৩ হাজার ১১৫ কোটি টাকা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণ। বাকি ৪ হাজার ৯১৯ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকারের। ডিডিপির দ্বিতীয় সংশোধনীতে এডিবির ঋণ ৮ হাজার ৬৫১ কোটি ও বাংলাদেশ সরকারের অংশ ২ হাজার ৭১২ কোটি টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

দোহাজারী-কক্সবাজার রেলালাইন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. সুবক্তগীন জানান, ঘুনধুম অংশ বাদ দেওয়ায় নির্মাণ ব্যয় কমছে। ফিডিক কন্ট্রাক্টের সব নিয়ম মেনে ডিপিপি সংশোধনের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

২০১০ সালে তৎকালীন সরকারের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন দেওয়ার সময় দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার ও রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত ১২৯ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৪ 
বিই/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।