চট্টগ্রাম: জনতা ব্যাংক লিমিটেড নগরের লালদীঘি শাখা ৬৭ কোটি ৮২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৪২ টাকা খেলাপি ঋণ ৩০ বছর ধরে পরিশোধ না করায় শিল্পপতি শওকত হোসাইন চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী-ছেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) চট্টগ্রাম অর্থঋণের বিচারক মুজাহিদুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।
বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম।
চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৩১ মার্চ জনতা ব্যাংক লিমিটেড নগরের লালদীঘি শাখা ৬৭ কোটি ৮২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৪২ টাকা আদায়ের জন্য জারি মামলা করেন। তাদের বিরুদ্ধে ৪৬ কোটি ৩৬ লাখ ৯০ হাজার ১৪৩ টাকাসহ উক্ত টাকার ওপর আদায় কালতক ১২ শতাংশ হারে সুদের ডিক্রি হয় ২০০৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর। ডিক্রিদার বরাবরে পরিশোধের জন্য ডিক্রিকৃত টাকা ৬০ দিনের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হলেও তা পরিশোধ না করায় জনতা ব্যাংক তাদের বিরুদ্ধে ৬৭ কোটি ৮২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৪২ টাকা আদায়ের দাবিতে এই জারি মামলা করে।
ব্যাংকের কাছে দায়িকগণের বন্ধকী সম্পত্তি ইতোপূর্বে ২ বার নিলামে বিক্রির জন্য দরপত্র আহবান করা হলে কোনো আগ্রহী ক্রেতা না পাওয়ায় ওই সম্পত্তি বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। ডিক্রিদারের আবেদনের প্রেক্ষিতে অর্থঋণ আদালত আইন ২০০৩ এর ৩৩(৫) ধারার বিধান মতে বন্ধককৃত সম্পত্তি ডিক্রিদার ব্যাংকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ডিক্রিদার ব্যাংক দায় সমন্বয়ের লক্ষ্যে উক্ত সম্পত্তি নিলাম বিক্রির উদ্দেশ্যে নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে। উক্ত নিলাম বিক্রি স্থগিত রাখার জন্য দায়িকগণ হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন দায়ের করায় নিলাম কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। ঋণ বিতরণের প্রায় ৩০ বছর অতিক্রান্ত হলেও কোনো পাওনা পরিশোধ না করায় বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ আদায়ে বাধ্য করার প্রয়াস হিসেবে ৩ জনের প্রত্যেককে ৫ মাস দেওয়ানি আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত। দেওয়ানি আটকাদেশ কার্যকর করার জন্য ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২৪
এমআই/টিসি