চট্টগ্রাম: প্রায় ১৩৬ প্রজাতির ফুল নিয়ে ১৯৪ একর জায়গায় তৃতীয়বারের মতো চট্টগ্রাম ফুল উৎসব আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট ডিসি পার্কে এ ফুল উৎসবের উদ্বোধন করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, চট্টগ্রামের বড় ঐতিহ্য হচ্ছে মেজবান। এটা বছরের পর বছর ধরে চলছে বিধায় ঐতিহ্যতে রূপ নিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ফুল আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ফুল মনের জড়তা, সংকীর্ণতা দূর করে মানুষের মনকে নির্মল আনন্দ দেয়। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমাদের জীবনে ফুল ব্যবহার হয়ে থাকে। আগামী প্রজন্মের মনে ফুলের মাধুর্যকে ফুটিয়ে তুলতে এ ফুল উৎসব সহায়তা করবে।
জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন। স্থানীয় সরকারের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. খোরশেদ আলম খান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. নুরুল্লাহ নুরী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, ফুল পবিত্রতার প্রতীক। আমরা মানুষকে যখন আর্শীবাদ জানাই তখন বলি, তোমার জীবন ফুলের মত সুন্দর হোক। তাইতো ফুল উৎসব। আগে এ জায়গাটা মাদকের অভয়ারণ্য ছিল। দখলদার ও সন্ত্রাসীদের হাত থেকে ১৯৪ একর জায়গাকে উদ্ধার করে ফুলের পবিত্র ভূমিতে উন্নীত করতে পেরে আনন্দ অনুভব করছি। এ ফুল উৎসবকে শুধু মাসব্যাপি না করে সারাবছর যাতে করা যায় এ বিষয় নিয়ে আমাদের চিন্তা রয়েছে।
এবছর মাস ব্যাপি এ ফুল উৎসবে প্রায় ১২ লাখ ফুলপ্রেমীর সমাগম আশা করছেন আয়োজকরা। উৎসবে ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, গোলাপ-গাঁদা নানা রকমের দেশি ফুলের পাশাপাশি বিদেশি ফুলের বাহারও রয়েছে। ফুল উৎসবের পাশাপাশি বিভিন্ন দিনে মাল্টি কালচারাল ফেস্টিভ্যাল, বই মেলা, পুতুল নাচ, গ্রামীণ মেলা, লেজার লাইট শো, ভায়োলিন শো, মুভি শো এবং পিঠাপুলি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পার্ক দর্শণার্থীদের জন্য খোলা থাকবে। ফুল উৎসবের প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ৫০ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২৫
এমআর/টিসি