চট্টগ্রাম: মৃগী রোগের চিকিৎসায় ঝাড়ফুঁক নয়, অন্য সাধারণ রোগের মতো সঠিক চিকিৎসায় রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পারে। তবে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে মৃগী রোগের উপসর্গ অন্য রোগের উপসর্গ হিসেবেও দেখা দিতে পারে।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের (চমেক) ‘আন্তর্জাতিক মৃগীরোগ’ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত র্যালিতে চিকিৎসকরা এ আহ্বান জানান।
বৈজ্ঞানিক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিউরোলজি বিভাগের প্রধান, অধ্যাপক ডা. মো. হাসানুজ্জামান ও নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. পঞ্চানন দাশ। সেমিনারে অধ্যাপক মো. হাসানুজ্জামান বলেন, মৃগী রোগ নিয়ে সমাজে অনেক কুসংস্কার প্রচলিত আছে। শুধু রোগের ইতিহাস এবং খিচুনির ভিডিও দেখে কোনো রকম দামি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই এ রোগ নির্ণয় করা সম্ভব। ৯০ শতাংশ রোগী ওষুধ খেয়ে ভালো থাকে। ৬০-৭০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে ২-৫ বছর ওষুধ খেয়ে রোগমুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে। মৃগী রোগে আক্রান্ত নারীরা গর্ভধারণের আগে ও গর্ভকালীন নিউরোলজি বিশেষজ্ঞের পরামর্শে নিয়মিত ওষুধ সেবন করে সুস্থ থাকতে পারবেন এবং সুস্থ বাচ্চা জন্ম দিতে পারবেন।
নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এসএম নোমান খালেদ চৌধুরী বলেন, ব্রেন টিউমার, মস্তিষ্কের আঘাতসহ বিভিন্ন নিউরোসার্জিক্যাল রোগের কারণে খিচুনি হতে পারে যা সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় সম্ভব। প্রসুূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ফাহমিদা রশিদের সঞ্চালনায় এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চমেকের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. হাফিজুল ইসলাম, চমেক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মনোয়ার উল হক শামীম, নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার কায়স্থগীর, সহযোগী অধ্যাপক ডা. শিউলি মজুমদার, সহকারী অধ্যাপক ডা. মাহবুবুল আলম খন্দকার, ডা. মসিহুজ্জামান আলফা, ডা. তৌহিদুর রহমান, ডা. জামান আহম্মদ, ডা. একরামুল আজম, কনসালটেন্ট ডা. সীমান্ত ওয়াদ্দাদার, রেজিস্ট্রার ডা. পীযুষ মজুমদার এবং ওয়ার্ডে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
এমআই/টিসি