ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ট্রাম বাঁচাতে কেন্দ্রের দ্বারস্থ রাজ্য

কলকাতা ব্যুরো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১২

কলকাতা: শহরের ঐতিহ্যবাহী পরিবহন ট্রামের আর্থিক দুরবস্থা কাটানোর জন্য এবার কেন্দ্রের দ্বারস্থ হলো রাজ্য সরকার।

ক্যালকাটা ট্রাম কোম্পানির তরফ থেকে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন দফতরের কাছে আর্থিক সাহায্য চাওয়া হয়েছে৷

কেন্দ্রের বক্তব্য, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিশ্লেষণের পাশাপাশি কলকাতার ট্রামকে দেশের অন্য শহরে চালানোরও পরিকল্পনা করা হচ্ছে৷

১৮৮০ সাল এর ১ নভেম্বর থেকে কলকাতায় চলছে ট্রাম৷ বহু ঘাত-প্রতিঘাত ইতিহাসের সাক্ষী এই নস্টালজিক যানটি৷ শহরের শতাব্দী প্রাচীন এই ঐতিহ্যবাহী যান এখন চূড়ান্ত আর্থিক সংকটে ধুঁকছে৷

ট্রাম নিয়ন্ত্রক সংস্থা ক্যালকাটা ট্রাম কোম্পানি(সিটিসি)-র বার্ষিক আয় মাত্র ৫০ কোটি রুপি৷ যেখানে ব্যয় হয় ২৫০ কোটি রুপি৷ এই পরিস্থিতিতে প্রতি বছর রাজ্য সরকার প্রায় ২০০ কোটি রুপি ভর্তুকি দিচ্ছে এই সংস্থাকে৷

এই চূড়ান্ত আর্থিক সংকটের মুখে দাঁড়িয়েই ট্রাম বাঁচাতে কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য৷

সিটিসি’র তরফ থেকে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকে ট্রামের জন্য আর্থিক অনুদান চেয়ে চিঠি লেখা হয়েছে৷ ট্রামের মত দূষণহীন জাতীয় ঐতিহ্যবাহী যান যাতে হেলায় হারিয়ে না যায় তার জন্য রাজ্যের আবেদন যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রক৷
 
শুধু রাজ্যের আবেদনে সাড়া দেওয়াই নয়, সারাদেশে ট্রামকে যাতায়াতের বিকল্প মাধ্যম হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে কেন্দ্র৷

কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী, মন্ত্রকের সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যদি ট্রাম সংস্কার সংক্রান্ত নির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা থাকে সেক্ষেত্রে আর্থিক অনুদানের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে৷

পাশাপাশি দূষণহীন এই যানকে দেশের অন্যান্য শহরেও যাতে চালানো যায় সে বিষয়ে ক্যালক্যাটা ট্রাম কোম্পানির সঙ্গে কথা বলে একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে৷

কেন্দ্রের তরফ থেকে সদুত্তর পাওয়ার পর সিটিসি এখন ট্রাম সংস্কার সংক্রান্ত নির্দিষ্ট পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে৷ সম্ভবত আগামী সপ্তাহেই পরিবহণ দফতরের ছাড়পত্রের জন্য সেই পরিকল্পনা জমা পড়বে মহাকরণে৷

বাংলাদেশ সময়: ০১৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১২

আরডি
সম্পাদনা: আবু হাসান শাহীন, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।