ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

পশ্চিমবঙ্গে ঝড় বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি, নিহত ১০

কলকাতা ব্যুরো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০১২

কলকাতা: গত দুদিন ধরে চলা প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে রাজ্যে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ জনে।

কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও বজ্রাঘাতে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ দিনাজপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবাসহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।



কালবৈশাখী ও লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বিভিন্ন জেলা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।

রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত দুদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও বজ্রাঘাতের ঘটনা ঘটে। এতে মুর্শিদাবাদে ৫ জন, মালদহে ২ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২ জন ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বহু মানুষ আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

এছাড়া মালদহে ধূলিসাৎ হয়ে গেছে প্রায় ৩ হাজার মাটির বাড়ি। আশ্রয়হীনরা বিভিন্ন স্কুলঘরে আশ্রয় নিয়েছেন। ঝড়ের জেরে মালদার বিস্তীর্ণ অংশও বিদ্যুত্‍হীন হয়ে পড়ে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে বিভিন্ন জেলায় ধান, গম, আমসহ বিভিন্ন চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মালদহে আমচাষেই প্রায় ২ কোটি রুপির ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় কয়েক হাজার মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রচুর গবাদিপশুরও মৃত্যু হয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় ১২ হাজার মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।


শুক্রবার রাত থেকে ঝড় ও বৃষ্টিতে প্রায় কয়েক হাজার মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্যানিং, বাসন্তী, গোসাবাসহ সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সবথেকে বেশি। অনেক জায়গায় গাছ পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

খুঁটি উপড়ে বিস্তীর্ণ এলাকার বিদ্যুৎ ও টেলি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সুন্দরবনের বেশ কয়েকটি নদীবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ারও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শিলা বৃষ্টিতে ফসল ও সব্জির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
 
উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় কয়েক ঘণ্টার ঝড়ে প্রায় ১২ হাজার মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫ হাজার মাটির বাড়ি। প্রায় ১১ হাজার ৯৫ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা শাসক।

মুর্শিদাবাদের রানিনগর, লালগোলা, ভগবানগোলার চর এলাকাতেও ঝড়ের দাপটে মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ক্ষতি হয়েছে ফসলেরও।

শুক্রবার থেকেই এ দুর্যোগের ঘটনা ঘটলেও দুর্যোগ-বিধ্বস্ত এলাকায় ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়নি অভিযোগে বেশ কিছু জায়গায় বিক্ষোভ শুরু করেন ক্ষতিগ্রস্তরা। বিপর্যয় মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসন বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন তারা।

বিপর্যয়ের পর ত্রাণ না মেলায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে মালদহের বিভিন্ন প্রান্তে। প্রতিবাদে জেলার বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ করা হয়।

শনিবার দুর্যোগ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করছেন কংগ্রেসের সাংসদ মৌসম নুর।

বাংলাদেশ সময়: ০১০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১২
আরডি
সম্পাদনা: অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।