কলকাতায়: গত সোমবার সন্ধ্যায় কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের অনেক জেলা৷
এদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি হয়৷ ঝড়-বৃষ্টির কারণে গরমে হাঁসফাঁস করতে থাকা শহরের তাপমাত্রা অনেকটা নেমে গেলেও বিভিন্ন জায়গায় ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
রেললাইনে গাছ উপড়ে পড়ে বন্ধ হয়ে যায় শিয়ালদা-দক্ষিণ শাখার ট্রেন চলাচল।
কলকাতায় এজেসি বোস রোড - রওডন স্ট্রিট ক্রিসংয়েও গাছ পড়ে বন্ধ হয়ে যায় গাড়ি চলাচল। অন্যদিকে সাউথসিটি মল, ঢাকুড়িয়া অঞ্চলেও গাছ পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। প্রবল ঝড়ে ব্যাহত হয় বিমান পরিসেবাও।
উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, নদীয়াসহ বিভিন্ন জেলায়ও ঝড়বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।
হাওড়ায় কালবৈশাখীর ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়েছে৷ উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসতেও বৃষ্টি হয়েছে। ঝড়ে তার ছিঁড়ে বেলুড়ে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে সন্ধ্যায় ঝড়ের কারণে ট্রেন, বাস, মেট্রো চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় অফিস ফেরত মানুষদের।
রেল সূত্রে জানা গেছে, বাঘাযতীন ও গড়িয়া স্টেশনের মাঝে ওভারহেড তারে গাছের ডাল ভেঙে বিদ্যুৎ সরবারহ ব্যাহত হয়, ফলে বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার ট্রেন চলাচল৷
শিয়ালদার বিভিন্ন স্টেশনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে ট্রেন৷ ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার অন্যান্য স্টেশনেও৷ অবশ্য ঘণ্টাখানেক পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
এদিকে শহরের এসপি মুখার্জি রোড, কালীঘাট দমকল কেন্দ্র, অজয়নগর, মুকুন্দপুর, হরিশ মুখার্জি রোডসহ বিভিন্ন জায়গায় গাছ উপড়ে পড়েছে। এ কারণে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে রাস্তায় নামানো হয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১২
আরডি/
সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর