কলকাতাঃ স্থানীয় সময় বুধবার দুপুর ২ টা ১১ মিনিট নাগাদ কলকাতায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। কয়েক সেকেন্ড ধরে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ৩৩ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্প উৎসস্থল ছিল। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৭। দ্বিতীয়বার ৪-২০ মিনিটে আবার কলকাতায় ভূমিকম্প হয়। সুমাত্রায় দ্বিতীয় এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৮ দশমিক ২।
সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মৎসজীবীদের সতর্ক করা হয়েছে। ` ভূমিকম্প নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে`, জানালেন মন্ত্রী জাভেদ খান।
এই কম্পনের ফলে কলকাতার পার্কস্ট্রিটের এপিজে হাউসে ফাটল ধরেছে। ভূমিকম্পের জেরে বহুতল অফিস, বাড়ি থেকে অনেক মানুষ বেড়িয়ে পড়ে। নিরাপত্তার কারণে মেট্রো চলাচল ২ টো ৪২ মিনিট থেকে সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয়। ৩ টি ৫০ মিনিটে আবার মেট্রো চালু হয়। লেকটাউন, সল্টলেক, উত্তর কলকাতার বিভিন্ন অংশে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি দক্ষিণ ২৪ পরগনার দীঘা অঞ্চলের অধিবাসীদের সতর্ক থাকতে বলেছেন।
পূর্বমেদিনীপুরের বিভিন্ন অংশে জলকম্প অনুভূত হয়। শিলিগুড়িতেও এই ভূমিকম্প অনুভব করে মানুষ। সুন্দরবন এলাকায় জল বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে।
মুম্বাই, চেন্নাই, আন্দামান ও নিকবর দ্বীপপুঞ্জ, পন্ডিচেরি, গৌহাটি, পাটনায় এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এছাড়া মায়ারমার, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কায় এই ভুমিকম্প অনুভূত হয়।
ভারতের প্রান্তসীমা লিটিল আন্দামানের সমুদ্র থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে দাঁড়িয়ে এক সরকারিকর্মী তারক সাহা জানান সেখানে ভূকম্পনের মাত্রা এতোটাই ছিল যে ঝটকায় চেয়ার থেকে পড়ে যাওয়ার জোগাড় হয়েছিল।
দরজা-জানালা প্রচণ্ড কাঁপছিল। কয়েক সেকেন্ড তা স্থায়ী হয়। সেখানে সুনামির সতর্কতা জারি হয়েছে। কর্মীরা সব পালিয়ে গেছে। সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকার মানুষদের উচু জায়গায় যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১২
আরডি/
সম্পাদনা: রানা রায়হান, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর