ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

চিকিৎসকদের ‘দুর্গমস্থানে না যাওয়ার আবেদন’ খারিজ

কলকাতা ব্যুরো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১২

কলকাতা : পশ্চিমবঙ্গে প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকা নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের তৈরি তালিকাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন শতাধিক চিকিৎসক। কিন্তু বুধবার তাদের আবেদন খারিজ করেছে হাইকোর্ট।



দেশের দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে কাজ করতে চিকিৎসকরা যাতে উৎসাহ পান, সেজন্য এমবিবিএস ছাত্রদের জন্য বিশেষ নম্বরবিধি চালুর পরামর্শ দিয়েছিল মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া।

সে অনুযায়ী, রাজ্যের প্রত্যন্ত ও দুর্গম জায়গায় গিয়ে চাকরি করলে ডাক্তারির স্নাতকোত্তর প্রবেশিকা পরীক্ষায় ছাত্রদের বাড়তি নম্বর দেওয়া হবে। এভাবে সর্বাধিক ৩০ নম্বর পর্যন্ত পাবে ছাত্ররা ।

এজন্য রাজ্যকে দুর্গম জায়গাগুলির তালিকা প্রস্তুত করারও নির্দেশ দেয় এমসিআই। সেই মতই গত বছরের নভেম্বর মাসে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর দুর্গম স্থানের একটি তালিকা প্রকাশ করে। দার্জিলিং, কালিম্পং ও কার্সিয়াংকেও ওই তালিকাভুক্ত করা হয়।

কিন্তু, এই তালিকা বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শতাধিক চিকিৎসকরা।

ওই চিকিৎসকদের অভিযোগ, দুর্গম স্থানের তালিকাটি ঠিকভাবে তৈরি করা হয়নি। দক্ষিণ ২৪ পরগনাকে ওই তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হলেও উত্তর ২৪ পরগনার নাম নেই সেই তালিকায়।

ফলে, কলকাতার টালিগঞ্জের মত যে সমস্ত এলাকায় পর্যাপ্ত পরিকাঠামো রয়েছে, সেটিকেও দুর্গম স্থান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অথচ, উত্তর ২৪ পরগনায় সন্দেশখালির মত এলাকায় প্রয়োজনীয় যোগাযোগ ব্যবস্থা বা পরিকাঠামো না থাকা সত্ত্বেও তাকে দুর্গম এলাকাভুক্ত করা হয়নি। ফলে, তালিকাটি ত্রুটিপূর্ণ রয়েছে । তার ভিত্তিতে চিকিৎসকদের যে বাড়তি নম্বর দেওয়া হবে, তাও সঠিক মূল্যায়নের ভিত্তিতে হবে না।

সেজন্যই ওই তালিকা বদলের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তারা। কিন্তু, বিচারপতি তপেন সেন বলেন, রাজ্য সরকার নিজের অধিকারবলে এই তালিকা প্রস্তুত করেছে। চাইলে তারা নিজেরা তা সংশোধন করতে পারে। কিন্তু, সরকারের কাজে হাইকোর্ট কোনওভাবে হস্তক্ষেপ করবে না। ফলে সরকারের ওই তালিকাই বহাল থাকছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১২

আরডি
সম্পাদনা: আবু হাসান শাহীন, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।