কলকাতা: একের পর এক ঘটনার বিতর্ক তাকে বিব্রত করলেও এবার নিজের মুকুটে `আন্তর্জাতিক পালক` জুড়লেন মমতা ব্যানার্জি।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে বুধবার প্রকাশিত টাইম পত্রিকার বিশ্বব্যাপী ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তি ২০১২ এর তালিকায় স্থান পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী।
এ তালিকায় রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, ধনকুবের লগ্নিকারী ওয়ারেন বাফে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, পাকিস্তানের প্রথম অস্কারজয়ী শরমিন ওবেইদ চিনয় প্রমুখ।
সম্প্রতি কার্টুন নিয়ে তৃণমূল সরকার যে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমকে সেন্সরের উদ্যোগ নিয়েছে, সেই ফেসবুক সিইও মার্ক জুকারবার্গও রয়েছেন এ তালিকায়।
গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে পত্রিকাটি প্রচ্ছদ নিবন্ধ ছাপলেও তার এই `অভিজাত ক্লাবে` স্থান হয়নি।
এদিকে এই স্বীকৃতির পুরো কৃতিত্বই সাধারণ মানুষকে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
বুধবার তিনি বলেন, ‘মানুষের ভালবাসাই তাকে এই জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। মা-মাটি-মানুষকেই উৎসর্গ করছেন এই সম্মান। ’
শুধু তালিকায় ঠাঁই নয়, মমতা ব্যানার্জির প্রশংসা করে পত্রিকাটি বলেছে, ‘ব্যানার্জি’র সমর্থকরা তাকে ‘দিদি’ বলেন। সমালোচকরা বলেন, তিনি কখন কী করবেন, বা কোনদিকে যাবেন, তার ঠিকঠিকানা নেই। আর চিতকার-চেঁচামেচি করে রাস্তার লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি নিজেকে নিখুঁত রাজনীতিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। নয়াদিল্লির ক্ষমতার অলিন্দে রাজনৈতিক দর কষাকষিটাই আসল খেলা। সেই খেলাতেও তিনি দারুণ দক্ষ। আর মার্কসবাদীদের উড়িয়ে দিয়েছেন রাস্তায়। ’
টাইম এও বলেছে, ‘একের পর এক নির্বাচনে দৃঢ়ভাবে নিজের ক্ষমতার বৃত্ত প্রসারিত করেছেন `ব্যানার্জি`। বিরোধীদের আস্তে আস্তে সাফ করে দিয়েছেন। যে দেশে পরিবারতন্ত্রের কুখ্যাতি রয়েছে, সেই দেশেই তার নিম্নমধ্যবিত্ত পারিবারিক অবস্থান কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। নিজের রাজ্যে জনমোহিনী কর্ম-তৎপর মহিলা হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। ’
বাক্যবাগীশ ও বিভেদপন্থী হলেও যিনি বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে আরও বড় ভূমিকা নেওয়ার অপেক্ষায়, এমনটাই মনে করছে টাইম।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৯, এপ্রিল ১৯, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: ওবায়দুল্লাহ সনি, নিউজরুম এডিটর