ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

এবার ভারতের ‘অপ্রিয়’ রাজনীতিকের শীর্ষ তালিকায় মমতা!

কলকাতা ব্যুরো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১২
এবার ভারতের ‘অপ্রিয়’ রাজনীতিকের শীর্ষ তালিকায় মমতা!

কলকাতা: ওয়েব পোর্টাল ইয়াহু ভারতের ১০জন অপ্রিয় রাজনীতিকের তালিকা তৈরি করেছে। সেই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।



সম্প্রতি টাইম পত্রিকা তাকে বিশ্বের ১০০জন প্রভাবশালীদের তালিকায় স্থান দিয়েছে। ইয়াহু-র দশজন অপ্রিয় রাজনীতিবিদের তালিকায় মমতা ব্যানার্জির পরে যথাক্রমে কংগ্রেস সভানেত্রী, ইউপিএ-এর চেয়ারম্যান সোনিয়া গান্ধী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম, বি জে পি নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, দুর্নীতির দায়ে জেলে থাকা সাবেক টেলিকম মন্ত্রী এ রাজা, কানিমোঝি, উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এবং বিএসপি নেত্রী মায়াবতী, কৃষিমন্ত্রী শারদ পাওয়ার এবং কমনওয়েলথ গেমসে কোটি কোটি রুপি দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত সুরেশ কালমাদি রয়েছেন।

ইয়াহু জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর আশা করা হয়েছিল সিপিএমের থেকে ভালো সরকার চালাবেন তিনি। কিন্তু তিনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন সরকারের স্বেচ্ছাচারিতার ঘটনা ঘটতে থাকে। ধর্ষণের ঘটনাকে সাজানো বলে মন্তব্য করে তিনি জানিয়ে দেন রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই এই অভিযোগ।

ইয়াহু আরো বলেছে, এক মহিলা অফিসার তদন্ত করে প্রমাণ করে দেন ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা নয়। মমতা তাকেই পদ থেকে সরিয়ে দেন। এরপর এক অধ্যাপক এবং বিজ্ঞানীকেও গ্রেফতার করা হয়। সর্বশেষ দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিপিএম সমর্থকদের বিয়েও করা যাবে না।

এদিকে, তার তীব্র সমালোচনা করে ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ও একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেছে। ‘মিসচিফ মিনিস্টার’ শিরোনামের এই প্রবন্ধেও ১ বছরে এই সরকারের গৃহীত বিভিন্ন নীতির কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। পরপর ধর্ষণের শিকার মহিলাদের সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, চলতি মাসে দুই শিক্ষাবিদকে গ্রেফতার করা। তারমধ্যে একজন তার কার্টুন পোস্ট করেছিলেন বলে প্রথমে তৃণমূলের কর্মীরা তাকে মারধর করে। এরপর থানায় নিয়ে গিয়ে হেনস্তা এবং মামলা দায়ের করা হয়। এইসব ঘটনায় প্রমাণ হয়, তিনি ন্যূনতম সমালোচনাও সহ্য করতে পারেন না।

‘দ্য ইকোনমিস্ট’ আরো বলেছে, মাওবাদীদের দমন করা ছাড়া আর সব বিষয়েই অন্ধকার। রাস্তার রেলিং, গোলচক্কর, সেতু এমনকি সুলভ শৌচাগারেও নীল-সাদা রঙ করার যে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, তাকে ব্যঙ্গ করা হয়েছে ঐ প্রবন্ধে। মুখ্যমন্ত্রী প্রতিটি ক্রসিংয়ে মাইকে রবীন্দ্র সঙ্গীত বাজানোর নির্দেশ দিচ্ছেন, আবার পাঠ্যবই থেকে মার্কসকে বাদ দিতে চাইছেন। জমি অধিগ্রহণ, অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং শিল্পায়নের প্রশ্নেও তৃণমূল নেত্রীর দৃষ্টিভঙ্গির সমালোচনা করেছে ইকোনমিস্ট।

এই প্রবন্ধেই তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়ানের একটি মন্তব্য প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘আপনারা সেরা মমতাকে এখনও দেখেননি। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১২
আরডি / সম্পাদনা: আবু হাসান শাহীন, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।