নয়াদিল্লি: চা’কে জাতীয় পানীয় হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চলেছে ভারত সরকার। আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হতে পারে।
শনিবার একথা জানিয়েছেন পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান মন্টেক সিং আলুওয়ালিয়া। খুব শীঘ্রই কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বিশেষ সমীক্ষা অনুযায়ী, ভারতবর্ষের প্রায় ৮৩ শতাংশ বাড়িতেই চায়ের কদর রয়েছে। শুধু কী তাই, গোটা বিশ্বে জলের পরে সব থেকে সস্তা পানীয় হিসেবে চায়ের উল্লেখ রয়েছে সমীক্ষায়। এই চা-কেই এবার বিশেষ মর্যাদা দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আলুওয়ালিয়া জানিয়েছেন, জাতীয় পানীয় হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারে চা। আগামী বছরের ১৭ এপ্রিলের মধ্যে এই ঘোষণা হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু ২০১৩-র ১৭ এপ্রিলের মধ্যেই কেন এই ঘোষণার সম্ভাবনা?
আগামী বছরের ওই সময়েই অসমে প্রথম চা-বাগান তৈরির সঙ্গে যুক্ত মনিরাম দেওয়ানেরও ২১২তম জন্মবার্ষিকী।
সে মুহূর্তটিকে স্মরণীয় করে রাখতেই ‘অসম টি প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশন’ -এর প্ল্যাটিনাম জুবিলির অনুষ্ঠানেই চা’কে জাতীয় পানীয় হিসেবে ঘোষণা করার কথা ভাবছে কেন্দ্র।
বাজারে কম বেশি ২০টি ভিন্ন প্রকারের কফি পাওয়া যায়, কিন্তু চা মাত্র দু’প্রকারের। আরও কয়েক ধরনের চা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন প্ল্যানিং কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান।
খুব তাড়াতাড়ি গুয়াহাটি ‘চা অকশান সেন্টার’ এ আন্তর্জাতিক মানের চা-বারও তৈরি করা হবে বলেও জানান তিনি। চা শিল্পের বিকাশের জন্য বিশেষ প্যাকেজের কথা জানিয়েছেন অসমের আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈও।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১২
আরডি
সম্পাদনা : আবু হাসান শাহীন, নিউজরুম এডিটর