আগরতলা (ত্রিপুরা): সভাপতির পদ খোয়ানোর একদিন পরেই বোমা ফাটালেন সুরজিত দত্ত। প্রদেশ কংগ্রেসের সাবেক রাজ্য সভাপতি বলেছেন, ২০১৩ সালে রাজ্য ক্ষমতায় আসতে পারবে না কংগ্রেস।
মাত্র একদিন আগেও যিনি কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি ছিলেন, তার এমন বক্তব্যে অবাক গোটা রাজ্যের রাজনৈতিক মহল।
কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতির আসনে সুরজিত দত্তকে সরিয়ে সুদিপ রায় বর্মণকে বসান। এরপরই রাজ্যে কংগ্রেস রাজনীতিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও তীব্র হয়ে ওঠে।
এক গোষ্ঠী অন্য গোষ্ঠীর দিকে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ ছুড়ে দিচ্ছেন।
এদিকে সাবেক কংগ্রেস সভাপতি সুরজিত দত্ত বলেছেন, ২০১৩ সালে রাজ্য ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না কংগ্রেস। কংগ্রেসের ক্ষমতায় ফেরার যে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছিল তা নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে সুদিপ রায় বর্মণকে সভাপতি করে।
সুরজিত দত্ত জানান, সুদীপ রায় বর্মণ আসলে সিপিএমের লোক। তার লোকজনই একসময় রাজ্য কংগ্রেস ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল। তার বাবা সিপিএমের সঙ্গে মিলে একসময় সরকার গঠন করেছিল। এমন একটা লোককে সভাপতি করা মানে রাজ্য কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ বন্ধ করে দেওয়া।
রোববার দুপুরে আগরতলায় আসেন সুদীপ রায়বর্মণ। ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হবার পর এদিনই তিনি দিল্লি থেকে রাজ্যে এসে পৌঁছান।
বিমানবন্দর থেকে সোজা চলে আসেন আখাঊড়া রোডের তার নিজের বাড়িতে। সেখানেই থাকেন রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সমীর বর্মণ। সম্পর্কে তিনি বর্তমান প্রদেশ সভাপতির বাবা। অন্য দুই ভাইও থাকেন এই বাড়িতেই। মাস খানেক আগে বাবার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির জেরে বাড়ি ছাড়েন সুদীপ।
এদিন অবশ্য সেই পুরানো তিক্ততা ফিরে আসেনি। আগরতলায় পা রেখেই সুদীপ ছুটলেন বাড়িতে, বাবার আশীর্বাদ চাইতে। বাবার হাত ধরেই যে তার রাজনীতিতে হাতেখড়ি। বাবাও জড়িয়ে ধরলেন আদরের মেজ ছেলেকে। এদিন অবশ্য সুদীপ বর্মণকে স্বাগত জানাতে রাজ্যের কংগ্রেস কর্মী সমর্থরা সকাল থেকেই ভিড় জমিয়েছিল আগরতলা বিমানবন্দরে। রাজ্যের যুব কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে সুদীপ সভাপতি হওয়াতে দারুণ খুশির হাওয়া।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১২
তন্ময় চক্রবর্তী
সম্পাদনা : আবু হাসান শাহীন, নিউজরুম এডিটর