ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

তিস্তা চুক্তি না হওয়ায় ত্রিপুরার ১৪টি সেচপ্রকল্পের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

রক্তিম দাশ.ব্যুরো চিফ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১২

কলকাতা: ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তার পানিবন্টন চুক্তি না হওয়ার কারণে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য ত্রিপুরার ১৪টি সেচ প্রকল্পের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

ছোট ও মাঝারি এ প্রকল্পগুলোতে আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ।

এর ফলে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুম মহাকুমার কয়েক হাজার কৃষক পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

ভারত-বাংলাদেশ তিস্তা পানিবন্টন চুক্তির যে খসড়া রয়েছে, সেখানে রাজ্যের ১৪টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে একাধিক প্রকল্পই ফেনী নদীর পানি ব্যবহার করে চালানো হবে। এ নদী দু’দেশের সীমান্ত নির্ধারণ করেছে। চুক্তি অনুয়ায়ী এ নদীর পানি ব্যবহারের জন্য একে অপরের অনুমতি আবশ্যক।

কিন্তু তিস্তার চুক্তি না হওয়ার কারণে ফেনী নদী নিয়ে চুক্তিও এখন অনিশ্চিত।

সূত্রের খবর, তিস্তার চুক্তি হলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ ১৪টি প্রকল্পের ওপর থেকে আপত্তি প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

ত্রিপুরার জলসম্পদ মন্ত্রণালয় মনে করছে, তিস্তা চুক্তি অবিলম্বে হলে রাজ্যের কৃষকরা উপকৃত হবেন। ১৪টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সাড়ে ৩ হাজার কানি জমিতে জলসেচ করা যাবে। এখন এসব জমিতে কৃষিকাজ করার জন্য বৃষ্টির পানিই একমাত্র ভরসা।

প্রকল্পগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রকল্প আমলিঘাট সেচ প্রকল্প। প্রায় ১২ বছর ধরে বাংলাদেশের আপত্তিতে যার বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। এ প্রকল্পে বসানোর কথা ৫টি ৭৫ হর্স পাওয়ার মোটর। এর মধ্যে ৪টি মোটর নিয়মিত চালানোর কথা।

এ ৪টি মোটর নিয়মিত চালানো হলে ফেনী নদীর পানিতে টান পড়বে বলে আশঙ্কা বাংলাদেশের। তবে এ আপত্তি তারা তুলে নেবে যদি তিস্তার পানি পাওয়া যায়, এমনটাই জানা গেছে। এ প্রকল্পটি শেষ হলে ১ হাজার ৭০০ কানি জমিতে জলসেচ করা যাবে।

অন্য ১৩টি প্রকল্প এতো বড় আকারের নয়। ২০ বা ১০ হর্স পাওয়ারের মোটর বসানো হবে এ প্রকল্পগুলোতে। এগুলো ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্প।

ত্রিপুরার জনগণ থেকে শুরু করে রাজ্য সরকার এখন সবাই তাকিয়ে আছেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির দিকে। তার ইচ্ছায় তিস্তার পানিবন্টনের একটা সুরাহা হলেই উপকৃত হতে পারেন তারা।

বাংলাদেশ সময় : ১১২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১২
আরডি
সম্পাদনা : অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।