শিলিগুড়ি: জনমুক্তি মোর্চা ও আদিবাসী বিকাশ পরিষদের বার্লো গোষ্ঠীর অনির্দিষ্ট হরতাল ঘিরে ক্রমশ উত্তেজনা ছড়াচ্ছে ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকায়।
সোমবার সকালে হরতালের শুরুতে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও, বেলা বাড়তেই বিভিন্ন জায়গায় পিকেটিং শুরু করে হরতাল সমর্থক ও বিরোধীরা।
ওদলাবাড়িতে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের মোড়ে জড়ো হয় হরতাল বিরোধীরা। এতে উত্তেজনা ছড়ায়। এক পক্ষ অপরপক্ষকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করে। সংঘর্ষ থামাতে লাঠি চালায় পুলিশ। বানারহাটেও দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সেখানে পুলিশ শূন্যে ২ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
ওদিকে পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হতে দেখে সোমবার দুপুরে মহাকরণে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি । তরাই ও ডুয়ার্সে শান্তির আবেদন জানান তিনি।
তিনি বলেন, পুলিশ দুপক্ষকেই সংযত থাকতে অনুরোধ করেছে।
মোর্চাকে চুক্তি মেনে চলারও পরামর্শ দেন এদিন তিনি।
এদিকে অশান্তির আশঙ্কায় হরতালে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। হরতালের প্রথম দিন বেশকিছু জায়গায় দোকানপাট খুলেছে। তবে যান চলাচল অন্য দিনের তুলনায় অনেকটাই কম। বেশ কিছু চা বাগান খুলেছে, কিন্তু অনেক চা বাগানেই কাজ হচ্ছে না।
৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করে হরতাল সমর্থকরা। কিন্তু পুলিশের তৎপরতায় সে অবরোধ উঠে যায়।
হরতালের জেরে কালচিনিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে আলিপুরদুয়ার থেকে শিলিগুড়িগামী প্যাসেঞ্জার ট্রেন। বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
ডুয়ার্সের মালবাজার, হোগলাবাড়ি, চালসায় হরতালের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি। তবে প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে ডুয়ার্সের বিন্নাগুড়ি, চামরচি, বানারহাট সহ বিভিন্ন এলাকায়। তবে হরতালে সক্রিয় রয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
অন্যদিকে হরতাল প্রতিহত করার পাল্টা হুমকি দিয়েছে আদিবাসী বিকাশ পরিষদ-সহ ২৬টি সংগঠন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘন্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা : আবু হাসান শাহীন, নিউজরুম এডিটর