কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম জঙ্গলমহলের লালগড় সফরে গেলেন মমতা ব্যানার্জি।
একদিকে উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা রূপায়ণ, অন্যদিকে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি।
এবারের সফরে একগুচ্ছ কর্মসূচির মধ্যেই ছিল জেলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে শুরু হয় বৈঠক। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক, এসপিসহ জেলা প্রশাসনের কর্তারাও। তবে বৈঠকে আমন্ত্রণ পাননি বাম পরিচালিত জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য।
বৈঠকে মুলত মুখ্যমন্ত্রী ঘোষিত উন্নয়নমুলক প্যাকেজগুলোর কাজ কতটা এগিয়েছে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, বিশেষত জঙ্গলমহলের অবস্থা এবং নতুন করে যৌথবাহিনীর অভিযান হবে কিনা, তা নিয়েও কথা হয় বৈঠকে। বৈঠকে জঙ্গলমহলে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্যাকেজ রূপায়ণে জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শান্ত জঙ্গলমহলে মাওবাদীরা নতুন করে জমি তৈরির চেষ্টা করতে পারে, এই আশঙ্কা থেকে জঙ্গলমহলবাসীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ পাশাপাশি চাঁছাছোলা ভাষায় বিঁধেছেন মাওবাদীদের৷
আত্মসমর্পণ করলে মাওবাদীদের আর্থিক-সামাজিক সব ধরণের নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে এদিন ফের প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ নাম না করে এদিন ফের সিপিএম-মাও আতাঁতের অভিযোগ করেন মমতা ৷
তবে, জঙ্গলমহলে শান্তি ফিরেছে বলে মুখ্যমন্ত্রী এদিন দাবি করেন।
এদিন, ডেবরায় হরিমতী উচ্চবিদ্যালয়ের হোস্টেলের ভিত্তিপ্রস্থর, কংসাবতী নদীর ওপর সেতু এবং লালগড় কলেজের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনের পাশাপাশি জঙ্গলমহলে ৫৪ কিলোমিটার রেলপথের শিলান্যাসও করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন কাঁথির তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা : আবু হাসান শাহীন, নিউজরুম এডিটর